চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দেশের অভ্যন্তরে
মূল্যস্ফীতি কমাতে সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এ বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা
নিয়ে আসবে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এফটিএ স্বাক্ষরের পর চীন থেকে বাংলাদেশে
আমদানিকৃত পণ্যের সামগ্রিক শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। শুল্ক হৃাসের প্রভাব
হিসেবে আমদানি মূল্যও হৃাস পাবে। এটি বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসে অবিলম্বে
প্রভাব ফেলবে।
রোববার (২ জুন) চীন দূতাবাসে আয়োজিত এ সেমিনারে এসব কথা
বলেন রাষ্ট্রদূত। ‘চায়না-বাংলাদেশ
ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়াল বেনিফিসিয়াল অ্যান্ড উইন উইন চয়েস’ শীর্ষক এ
সেমিনারের আয়োজন করে চীন দূতাবাস। চীন-বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার সুস্থ ও স্থিতিশীল
উন্নয়নের নিশ্চয়তা প্রদান করে। দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার এ
ভিত্তি দৃঢ়, ব্যাপক
এবং বৈচিত্র্যময়।
এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু এফটিএর মাধ্যমে
দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও লাভের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এফটিএ চুক্তির
আওতায় যেতে ১ম ধাপের আলোচনা এ বছরই শুরু হবে। আগামী বছর চীনকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ
বিনিয়োগকারী বলা যাবে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স
অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মহাসচিব আল মামুন মৃধা, চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের
সভাপতি কে চেংলিং, রিসার্চ
অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, চাইনিজ
অ্যাকাডেমি অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপারেশরেনের ইনস্টিটিউট অব
এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর জেনারেল ইউয়ান বোসহ আরো অনেকে।