ডোনাল্ড লু ঢাকা আসছেন আজ

আলোচনা হবে ভিসানীতি ও র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

দুইদিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও র‍্যাবে আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সহজীকরণের বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা হবে জলবায়ু ইস্যুতেও। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কর্তাব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ডোনাল্ড লুর ঢাকায় পৌঁছার কথা। তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন আগামীকাল।

সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডোনাল্ড লুর সাক্ষাতের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স পরিদর্শনের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা। এছাড়া আজ রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে। 

এতে আরো বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

লুর সফর সম্পর্কে রাজধানীতে গতকাল এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশ সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করব।’

ডোনাল্ড লুর সফরে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব পাবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসানীতি বা র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আমাদের সম্পর্কে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল ঠিকই, তবে সেগুলো 

নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এগুলো যেন সহজীকরণ হয়, সেজন্য আমরা এর আগে মার্কিন প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে এবারো আসতে পারে। সেগুলো (র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা রেখাপাত করেছে তো বটেই, সেগুলো নিয়ে অবশ্যই আমরা আলোচনা করব।’

বাংলাদেশে ডোনাল্ড লুর এটি হবে চতুর্থ সফর। গত জুলাইয়ে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন