মানুষের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি, ইতিবাচক বিবর্তনশীল মানসিকতা সৃষ্টিতে যে প্রেক্ষাপট বা আবহ প্রয়োজন তা তৈরির একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে আসবাব। সৌন্দর্যবর্ধন অথবা অন্যান্য আবশ্যিক প্রয়োজনে আসবাব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বরাবরের মতোই দেশীয় জনপ্রিয় ফার্নিচার ব্র্যান্ডগুলো হাজির হয়েছে তাদের সব আকর্ষণীয় ডিজাইনার ফার্নিচার নিয়ে।
দেশীয় আসবাব ব্র্যান্ড হাতিলও নিয়ে এসেছে প্রয়োজনীয়, আকর্ষণীয় ও হালকা ধরনের ফার্নিচার। ঈদের মৌসুমে বাড়ির সাজ আরো উৎসবমুখর করে তোলে আমাদের কত না আয়োজন। বাহারি পোশাক, মুখরোচক খাবারের সঙ্গে একটু পরিপাটি ঘর। ঘর গোছানো বা সাজানো যেন আমাদের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। তাই ঈদকে সামনে রেখেই হাতিল তাদের ডিজাইনে নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। ব্র্যান্ডটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান জানিয়েছেন, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে বেশকিছু নতুন ডিজাইন হাতিল তাদের ডিসপ্লেতে সাজিয়েছে। তবে ডিসপ্লে ছাড়াও বাজারে এসেছে অসংখ্য নতুন ডিজাইনের ফার্নিচার এবং সেগুলোয় রয়েছে অনেক বৈচিত্র্য। এসব ডিজাইনে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য হাতিল দিচ্ছে বিশেষ ছাড়।
সময়ের বিবর্তনে কাঠ ও বাঁশের পাশাপাশি স্টিল অথবা অন্যান্য ধাতু, গ্লাস, পাথর, পাস্টিক, চামড়া, রেক্সিন ও রঙের ব্যবহার আসবাবকে করেছে টেকসই ও মজবুত। পাশাপাশি কারুকাজ বা নকশা সংযুক্ত হয়ে করেছে আরো মোহনীয় ও আকর্ষণীয়। স্থান ভেদে আসবাবপত্রের ব্যবহার ও নকশায় নানা পার্থক্য লক্ষ করা যায়। গ্রামাঞ্চলে এখনো ঐতিহ্যবাহী আসবাবপত্রের প্রচলন বেশি, তবে দেশীয় কৌশল ও কাঁচামালে তৈরি এসব আসবাবপত্রের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক নকশাও।
তবে আমাদের দেশের মানুষের একটি বড় অংশ ভাড়া বাসায় জীবনযাপন করে। সেক্ষেত্রে বেশির ভাগ ভাড়া বাড়িগুলোই আকারে বেশ ছোট। চাইলেই নিজেদের পছন্দমতো ডিজাইনের-আকারের ফার্নিচার দিয়ে ঘর সাজানো যায় কি?
এমন ভাবনা থেকেই কাজ করছে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। হাতিল তাদের ঈদ কালেকশনেও নিয়ে এসেছে হালকা ধরনের কিছু ফার্নিচার। যেন স্বল্প জায়গা হলেও ঘর সাজাতে কোনো বাধা না আসে এবং এমন অনেকেই আছেন যাদের পছন্দের ফার্নিচারের তালিকায় থাকে হালকা ফার্নিচার। ঘরে জায়গা কম লাগবে এবং স্লিম বা ছিমছাম ডিজাইনের হবে।
এছাড়া ফার্নিচার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড বাছাইয়ের জন্য ক্রেতা সবার আগেই ভাবেন বিশেষত্ব নিয়ে। হাতিলের বিশেষত্ব হলো ফার্নিচারের কাঠ। তারা যে কাঠ ব্যবহার করে সেটি বিশ্বমানের এবং এইচএসবিসি দ্বারা স্বীকৃত। সাসটেনেবল সোর্স থেকেই কাঠ সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয়ভাবে বন থেকে হাতিল কাঠ সংগ্রহ করে না। গাছ কেটে ফার্নিচার তৈরি করার পক্ষপাতিত্বও করে না ব্র্যান্ডটি। দিনদিন আরো বেশি কার্যকরভাবে এ ধরনের পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রয়েছে দেশের অন্যতম আরো একটি আসবাব ব্র্যান্ড পশ ফার্নিচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র লিমিটেডের। ব্র্যান্ডটির আরএন্ডডিতে কাজ করা একদল তরুণ ও উদ্যোমী সদস্যদের হাত ধরেই এগিয়ে চলছে ফার্নিচার ব্র্যান্ডটি। তাদের কাল্পনিক আল্পনায় বাস্তব রূপ পাচ্ছে একেকটি আসবাবপত্র যেমনটি ক্রেতার চাহিদা। এছাড়া পশ ফার্নিচার তার সব ধরনের আসবাবপত্র প্রতিটি পর্যায়ে শতভাগ গুণগত মান নিশ্চিত করে প্রস্তুত ও সরবরাহ করে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বড় ও নামকরা ফার্নিচার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবহৃত কাঠ যে পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াকরণ করে এবং যেসব আধুনিক মেশিনারিজ ব্যবহারের মাধ্যমে আসবাপত্র তৈরি করে, ঠিক সে প্রক্রিয়া ও মেশিনারিজ ব্যবহার করেই পশ ফার্নিচার ও আসবাবপত্র তৈরি করে আসছে। ব্র্যান্ডটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের পরিচালক মো. গোলাম রববানি মনে করেন, ঈদকে সামনে রেখে ছাড় দেয়া হলে ঈদে ঘর সাজানো আরো সহজ হয়। সে ভাবনা থেকেই এবার ঈদে পশ দিচ্ছে ১৮ শতাংশ ছাড়। যেহেতু পশ ফার্নিচারের নিজস্ব ফোম ও ম্যাট্রেস কোম্পানি রয়েছে, তাই কেউ বেডের সঙ্গে যেকোনো ম্যাট্রেস নিলে পাচ্ছে কম্বো অফারে মোট মূল্যের ওপর ২০ শতাংশ ছাড়। তাই এবার ঈদ আনন্দ হবে দ্বিগুণ।