স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ বিশিষ্টজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৪ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন পুরস্কার পাচ্ছেন। এছাড়া সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়া ক্ষেত্রে একজন ও সমাজসেবায় তিনজন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পুরস্কার পাচ্ছেন।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খান খুররম (মরণোত্তর)। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ‌ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে ফিরোজা খাতুন এ পুরস্কার পাচ্ছেন। সমাজসেবা/জনসেবা ক্ষেত্রে পুরস্কার পাচ্ছেন অরণ্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এসএম আব্রাহাম লিংকন।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সরকারের সব মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, জেলা প্রশাসক, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থাকে পুরস্কার প্রদানের বিষয় উল্লেখ করে সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এ পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিদের নামের প্রস্তাব বা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে সব ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রী ও সচিবরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম পাঠানোর পর প্রাথমিক বাছাই করে একটি তালিকা করা হয়। এরপর পদক কমিটির বৈঠকে এ তালিকা ওঠানো হয়। সেখান থেকে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এ তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজন করতে পারেন। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তালিকাটি চূড়ান্ত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংখ্যা কোনো বছর ১০-এর বেশি হবে না, তবে প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ সংখ্যা বাড়াতে পারেন। কোনো ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানালে বা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের মতামত না জানালে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জানাতে হয়। ফলে ওই ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম পুরস্কারপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় না এবং তাদের নাম ঘোষণা করা হয় না। পুরস্কারটি স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় বিভিন্ন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও অন্য বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিতিতে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন