পরিবেশবান্ধব প্রিমিয়ার সিমেন্ট টিকে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে

ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

দেশে অবকাঠামো নির্মাণের সঙ্গে সিমেন্ট খাতের প্রবৃদ্ধি কতটা সম্পর্কিত? 

কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থা হলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হৃৎপিণ্ড। একটি দেশের অবকাঠামোর অবস্থা দেখলেই সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কী সেটা বুঝতে পারা যায়। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত রাখতে হলে তাই নির্মাণ খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নত যোগাযোগ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি বাড়াবে, এটা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের মতো বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়নে আমরাও অংশীদার। সামনে আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চাহিদা রয়েছে। যেমন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার সঙ্গে সড়ক ব্যবস্থা। এ রুটকে আমি সড়কই বলব। কারণ মহাসড়ক বলতে হলে সেখানে আট লেন থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কটি চার লেনের। অথচ দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরও এ অঞ্চলে। আট লেন দ্রুত শুরু করা গেলে উন্নয়নের সুফল খুব দ্রুত আসবে। প্রকল্পটি আমাদের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা আরেকটি বিকল্প সড়কের কথা বলতে পারি। যেটা চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকা পর্যন্ত। ঢাকা-চট্টগ্রামের কানেক্টিভিটি আমাদের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যে প্রকল্পগুলোর কাজ করলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে এমন প্রকল্প আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আর অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে হলে নির্মাণ খাতকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের দেশের প্রায়োরিটিই হলো এ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। 

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কোন বিষয়গুলোর কথা বলবেন? 

দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য রাজনৈতিক সুশাসন দরকার। তবে রাজনীতি কিন্তু আমাদের অগ্রাধিকার বিষয় নয়। রাজনৈতিক সুশাসন এবং মানুষের নিরাপত্তা যদি আমাদের নিশ্চিত করা যায় তাহলে দেশের ব্যবসায়িক পরিস্থিতি আরো সমৃদ্ধ হবে। সুশাসন ও মানুষের নিরাপত্তা কেন দরকার সেটার কারণ হলো বিদেশী বা অন্য দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে এসে দেখবে আইনের শাসন আছে, সুশাসন আছে কিংবা মানুষের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয় তখন তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে, এ দেশ থেকে পণ্য কিনতে চাইবে। সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আসবে। ব্যাংক, বন্দর সেবা, কাস্টমসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারে যদি সুশাসন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। আগে কাস্টমস, বন্দর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করত। যদিও এখন এর ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া যেকোনো কাজের জন্য পলিসি থাকতে হবে। কিন্তু পলিসিগুলোর স্থায়িত্ব থাকছে না। একজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত অন্যজন মেনে নিচ্ছেন না। তাছাড়া পলিসি প্রণয়ন করলে সেগুলো আবার সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। যার কারণে এর চাপ গিয়ে পড়ছে ভোক্তার ওপর। ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান, স্টেকহোল্ডার, আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা না বলার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্যই আমি বলছি অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন কেন আমাদের বড় দরকার। 

টেকসই সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের কথাটা এখন প্রায়ই শোনা যায়। 

বিশ্বের কোনো উন্নত শহরে বিটুমিন দিয়ে সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করা হয় না। এ বিটুমিন স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। বিটুমিন দিয়ে তৈরি করা রাস্তাগুলোয় খেয়াল করলে দেখা যাবে এক বছরের মধ্যে সেই বিটুমিন উঠে গেছে। এটা তামাকজাতীয় জিনিস বা সিগারেট থেকে অনেক খারাপ। এই বিটুমিন মানবদেহে প্রবেশ করছে। আমার খুবই খারাপ লাগে যখন দেখি ফ্লাইওভার বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর সেখানে বিটুমিন দিয়ে সড়ক নির্মাণ করে। এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক লাগে। আমাদের দেশে যেটা করা দরকার সেটা হলো সড়কগুলোয় আরসিসি ব্যবহার করতে হবে। আমি ইঞ্জিনিয়ার না। কিন্তু আরসিসি ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করা হলে অন্তত ২০-২৫ বছর কোনো চিন্তাই করতে হবে না এ সড়কগুলো নিয়ে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের রাস্তা একসময় আরসিসি দিয়ে করা হয়েছিল। আমি অনেকের কাছে শুনেছি সেগুলো নাকি সেই সময়ের ৪০ বছরের আগে করা। নতুন রাস্তা নির্মাণ করার আগে সড়কটি অনেক দিন টেকসই ছিল। আরসিসি না দিয়ে বিটুমিন দিয়ে সড়ক নির্মাণের কারণে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য বিটুমিনের ব্যবহার সড়ক নির্মাণে কমিয়ে আনতে হবে। এতে বারবার রিপেয়ার করার ঝামেলা কমে যাবে। ঠিকাদারকেও অতিরিক্ত টাকা দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারি খরচ কমে আসবে। কারো ব্যক্তি স্বার্থে এ ধরনের কাজ চলে আসছে। আরসিসিতে ২০-৩০ শতাংশ খরচ বেশি হলেও এর স্থায়িত্ব তো অনেক বেশি। কিন্তু ২০-৩০ শতাংশের জন্য কাজ না করে পরে দ্বিগুণ বা তিন গুণ খরচ করা হচ্ছে। এসব কেউ দেখছে না। বর্তমানে যেসব জায়গায় আরসিসি দিয়ে তৈরি রাস্তা রয়েছে সেগুলো ৮-১০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো তো নষ্ট হয়নি। কিন্তু বিটুমিন দিয়ে বানানো সড়ক দুই বছরের মাথায় সংস্কার করতে হচ্ছে। তাহলে এ ক্ষতি কে পুষিয়ে নেবে? ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক এখন পর্যন্ত কতবার সংস্কার করা হয়েছে? সঙ্গে পরিবেশের বিপর্যয় তো আছেই। 

সিমেন্ট খাতের কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। আমদানি পর্যায়ে কিংবা বন্দরে ব্যবসায়ীরা কেমন সেবা পাচ্ছেন? 

বন্দরে বর্তমানে যারা ল্যান্ড লর্ড আছে তারা খুব দক্ষতার সঙ্গে বন্দর পরিচালনা করছে। বন্দর পরিচালনা করতে বিভিন্ন অপারেটর আনা হয়। এমন কোনো অপারেটর দিয়ে বন্দর পরিচালনা করানো যাবে না যাতে আমাদের অবস্থা ভারতের মতো হয়। ভারতের পুরনো বন্দরে জাহাজের খরচ ২০ হাজার ডলার। সেখানে তাদের বেসরকারি খাতের অপারেটর দিয়ে পরিচালিত বন্দরে জাহাজের খরচ ১ লাখ ডলার। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেসের কারণে এ ব্যয় হচ্ছে। 

সিমেন্টের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতাই বসে আছে, যদিও নতুনভাবে বিনিয়োগও হচ্ছে।

সক্ষমতা থাকলেও শতভাগ কাজ করা সম্ভব হয় না। একটি মেশিনারিজ ইকুইপমেন্ট কি ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়? এছাড়া আমার সক্ষমতা আছে ফ্যাক্টরির। কিন্তু আমার লজিস্টিক সাপোর্ট যেমন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির শতভাগ প্রাপ্যতাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সিমেন্টের আবার নির্মাণ মৌসুমও আছে। এখন প্রতিটি কারখানায় গড়ে ৬০-৭০ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে। এক সিজনে ৭০ শতাংশ বিক্রি হবে, আবার আরেক সিজনে ৪০ শতাংশ বিক্রি হবে। এভাবেই ব্যবসা চলে। এজন্য আমরা এভারেজে বলি ৫০-৬০ শতাংশ ব্যবসা হচ্ছে। অবশ্য এ নির্মাণ উপকরণ ভোগের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। এখন দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ও অবকাঠামোর অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রামে স্কুল-কলেজ নির্মাণ হচ্ছে, মসজিদ, মন্দির, উঁচু ভবন, সড়কও নির্মাণ হচ্ছে। আগের সঙ্গে এখনকার গ্রামের বিস্তার ফারাক হয়ে গেছে। 

দেশের সিমেন্ট খাত বৈশ্বিক প্রযুক্তির সঙ্গে কতটা তাল মিলিয়েছে? 

বাংলাদেশে সিমেন্ট খাতে কাঁচামাল থেকে প্রযুক্তি সবকিছুই বিশ্বমানের। ডিবেট করাই যায় কিন্তু এ প্রশ্নে এ খাতকে ফেলে দেয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ এখন ভিয়েতনাম-চীনসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করছে। আগামী ৩০-৪০ বছর পোশাক শিল্প নিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন তুলতে পারবে না, তেমনি সিমেন্ট খাত নিয়েও প্রশ্ন তুলতে হলে তাদের কয়েকবার ভাবতে হবে। আমেরিকা যেমন মেডিসিন বা আইটি সেক্টরের ৯০ শতাংশই কেনে ভারত থেকে। একটা সময় বাংলাদেশে পোশাক শিল্প হয়তো থাকবে না। কিন্তু ততদিনে কোনো না কোনো বিকল্প চলে আসবে। এক শিল্প নিয়ে কেউ বসে থাকে না। রিপ্লেস তৈরি হবেই। এছাড়া নতুন নতুন শিল্প খাত বিশ্বের বিভিন্ন বাজার খুঁজে বের করছে, যেখানে রফতানি ছাড়াও নিজেদের খাতের প্রসারতা বাড়বে। 

উপযুক্ত পলিসির কথা বলছিলেন...

বাংলাদেশে যারা সিমেন্ট খাত নিয়ে পলিসি তৈরি করেন তারা যেন এ খাতকে টোবাকো খাত মনে না করেন। টোবাকো খাত থেকে যেমন ভ্যাট-ট্যাক্স বেশি নেবে, এমন একটা বিষয় আছে। আমাদের জন্য একটি আইন তৈরি করা হয়েছে। এ আইন আমাদের কাছে অসহনীয় মনে হয়। সরকার চায় সিমেন্ট খাতকে পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি করার জন্য। কিন্তু রাজস্ব বোর্ড একটি ট্যাক্স পলিসি গঠন করল। সেটাও সংসদে পাস হলো। রাজস্ব বোর্ড ২ থেকে ৫ শতাংশ এআইটি বছরের শেষে যেটা নেবেন সেটা যখন আমার সঙ্গে ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট করা হয় তখন ধরেন আমি ৭০ কোটি টাকা ট্যাক্স দিলাম কিন্তু আমার ট্যাক্স এল ৩০ কোটি টাকা। তখন আমার ওই ৪০ কোটি টাকা কিন্তু ফেরত দেবে না। এটা আগে ফেরত দিত। কিন্তু এখন সেটা ফেরত দিচ্ছে না। মানে যা তারা নিয়ে নিচ্ছে সেটা আর ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু অ্যাসেসমেন্ট করার পর যদি আমার ট্যাক্স ৮০ কোটি টাকা হয় তাহলে আমাকে ১০ কোটি টাকা তাদের দিতে হবে। আমার কম এলে তারা সেই টাকা ফেরত দেবে না। এটা আমাদের ওপর অবিচারই বলব। আমার অধিকার আর থাকছে না। এ ট্যাক্সের বিষয়গুলো সমাধান করা উচিত। সবার জন্য সহনশীল করতে হবে। অনেক বড় কোম্পানির স্টক মার্কেটে আগ্রহ আছে। কিন্তু তারা যাচ্ছে না। কিছু কোম্পানি হয়তো গেছে। কিন্তু বড় অনেক কোম্পানিকে এখনো নিতে পারেনি। পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি হওয়ার পর ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্টের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে হয়তো বড় কোম্পানিগুলো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ট্যাক্স নিয়ে কথা বলতে গেলে তারা বলে ভোক্তার ওপর পাস আউট করে দেন। এটা তো সমাধান হতে পারে না। 

সামনে বাজেট। রাজস্ব বাড়ানোর চাপ আছে। এনবিআরও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে। বাজেট নিয়ে কোনো সুপারিশ আছে কি? 

রেভিনিউর জন্য যেটা দরকার সেটা হলো পরিধি বাড়াতে হবে। পরিধি না বাড়িয়ে শুধু নির্দিষ্ট লোকের কাছ থেকে ট্যাক্স-ভ্যাট নেবেন এটা তো জুতসই সিদ্ধান্ত হলো না। কোনো ব্যাংক কি কারো ঋণ মাফ করেছে এখন পর্যন্ত? বড় কোম্পানিকে কি তারা বলেছে, তোমাদের ঋণ মাফ করে দিলাম! বরং যে কোম্পানি দেবে না বলে, তার সুদ মাফ করে। আর যারা নিয়মিত সুদ, ভ্যাট, ট্যাক্স পরিশোধ করে তাদের ওপর আরো চেপে ধরে। তাহলে যারা নিয়মিত সব পরিশোধ করছে তাদের জন্য কী সুবিধা দিচ্ছে এ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সিমেন্ট খাতকে উন্নত করতে হলে স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করতে হবে। যারা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ না করলে এ ব্যবসার উন্নতি সম্ভব না। সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক খাতগুলোর সহযোগিতা ছাড়া কাজ করা সম্ভব হয় না। সিমেন্ট খাতে ট্যাক্স নিয়ে একটু সরকারকে বিবেচক হতে হবে। সামনে বাজেট সেজন্য আমরা বলব এ খাতের অবস্থা বিবেচনা করে টেকসই বাজেট নির্ধারণ করলে খাতটি আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারবে। 

সিমেন্ট খাতে নতুন বিনিয়োগের কথাও শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্পের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন? 

আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যে কার্যক্ষমতা আছে এবং সেখানে নতুন বিনিয়োগের কতটা দরকার আছে সেটার অ্যাসেসমেন্ট দরকার। আমরা অনেক সময় অনেকের কথা বলি, যারা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছে। কেন গেছে? প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ছিল বলেই তারা বাজার থেকে চলে গেছে। আসলে কোন সেক্টরে বিনিয়োগ প্রয়োজন সেটা নির্ধারণ না করার কারণে অনেক ব্যবসায়ী দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা চালাতে পারেন না। ইনভেস্টমেন্ট করতে হলে গবেষণা করা দরকার। কিন্তু সেই সংস্কৃতি বাংলাদেশে নেই। আমরা সিমেন্ট খাতকে ইকো ফ্রেন্ডলি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এটা শতভাগ করতে হবে। নয়তো ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না। আন্তর্জাতিক পরিসরে গত কয়েক বছর উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

সবশেষে আপনার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত সিমেন্ট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম...

প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের পরিবেশবান্ধব সিমেন্ট পৌঁছে দিচ্ছে গ্রাহকের দোরগোড়ায়। তাই আশা করতেই পারি, প্রিমিয়ার সিমেন্ট টিকে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। 

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন 

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রাশেদ এইচ চৌধুরী

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন