ক্যান্সারের জন্য অলাভজনক প্রচুর হাসপাতাল হওয়া দরকার

অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন

ছবি : বণিক বার্তা

বাংলাদেশে প্রতি বছর ক্যান্সারে কত আক্রান্ত হয়, কতজন মারা যায় বা কোন ক্যান্সারে কতজন মারা যায় সেটা বলা যায়। কোন ক্যান্সারে কতজন আক্রান্ত হয় তা বলা হয়। মোট রোগীর সংখ্যা কত—এ রকম পরিসংখ্যান সাধারণত দেয়া হয় না। আমাদের দেশে জনগোষ্ঠীভিত্তিক কোনো ক্যান্সার নিবন্ধন নেই ।

২০০৩ সালে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আমি ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বিভাগে যোগদান করি। এ বিভাগের মাধ্যমে আমরা প্রথম হাসপাতালভিত্তিক ক্যান্সার নিবন্ধন চালু করি ২০০৫ সালে। এর আগে ভারতের কেরালায় রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টারে প্রশিক্ষণ নিই। তারপর এটা আমরা বাংলাদেশে চালু করি। এখানে প্রথম ২০০৫ সালের ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এটা দেশে ও বিদেশে খুব সাড়া ফেলে। এর পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত একটু অনিয়মিতভাবে হলেও এ নিবন্ধন প্রকাশ করেছি। আরো কয়েকটা হাসপাতালে ক্যান্সারভিত্তিক নিবন্ধন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে আমরা এগুলো এখনো প্রতিবেদন আকারে পাইনি। একটা হাসপাতালভিত্তিক নিবন্ধন দেখে আমরা ধারণা করতে পারি যে ওই হাসপাতালে যত রোগী আসে তারা কোন কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত, তার সংখ্যা ও হার কত। এ ধরনের তথ্যগুলো আমরা পাই। তবে তা দিয়ে একটা দেশের বা একটা এলাকার ক্যান্সার আক্রান্তের হার কত সেটা বের করা যাবে না। জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট এলাকার ক্যান্সার আক্রান্তের হার বা ক্যান্সারে মৃত্যুর হার সম্পর্কে জানা গেলে তা থেকে পুরো বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর আলোকে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বা মৃত্যুর হার সম্পর্কে অনুমিত পরিসংখ্যান জানতে পারব। তবে আমাদের দেশে এখনো এ ধরনের ক্যান্সার নিবন্ধন শুরু করা যায়নি। 

বাংলাদেশে যেহেতু অঞ্চলভিত্তিক কোনো নিবন্ধন নেই। আশপাশের এলাকার সঙ্গে তুলনা করে অঞ্চলভিত্তিক একটা ধারণা দেয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার। গ্লোবাল ক্যান্সার স্ট্যাটিসটিকসের (গ্লোবক্যান) সর্বশেষ ২০২০ সালে প্রকাশিত ভার্সন অনুযায়ী বাংলাদেশে ১ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ প্রতি বছর নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ১ লাখ ৮ হাজার প্রতি বছর মারা যায়। সেখানে নারী-পুরুষের হারও আলাদাভাবে বলা হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বলা হচ্ছে, খাদ্যনালির ক্যান্সারে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। এরপর আছে যে ঠোঁট ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার। সেটার পরিমাণ ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর আছে ব্রেস্ট ক্যান্সার, যেটা ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপর আসে ফুসফুসের ক্যান্সার। পুরুষরা সবচেয়ে বেশি খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, এরপর ফুসফুসের ক্যান্সার, এরপর আছে ঠোঁট ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার। নারীদের মধ্যে প্রথমে আছে স্তন ক্যান্সার (১৯ শতাংশ), জরায়ু ক্যান্সার (১২ ভাগ), এরপর আছে খাদ্যনালির ক্যান্সার। এখানে একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হলো, যেহেতু আমাদের থেকে তথ্য নেয়া হয় না। এ তথ্যগুলো সঠিক কিনা সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। আমাদের নিজস্ব জনসংখ্যাভিত্তিক ক্যান্সার নিবন্ধন দরকার। এটা না থাকার কারণে আমরা যথাযথ তথ্য পাচ্ছি না। 

আগের থেকে ক্যান্সার বাড়ছে। মূল ব্যাপারটা হলো আগের থেকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে, যার কারণে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়া নানা রকম পরিবেশগত কারণে, খাবার-দাবারের কারণে, জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণেও ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যদি প্রাথমিক অবস্থায় কারো ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয় হয়, তাহলে ভালোভাবে চিকিৎসার পরিকল্পনাটা করা যায়। প্রত্যেক রোগীকে আলাদাভাবে দেখা হয়। কারণ ব্যক্তিবিশেষে কিছু কিছু পার্থক্য থাকে। তাই আমরা বলি, ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার পরিকল্পনাটা করার সময় ব্যক্তির সব তথ্য বিবেচনায় নিয়ে তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমরা জানি যে ক্যান্সার চিকিৎসার প্রধান তিনটি মাধ্যম হলো অপারেশন, কেমোথেরাপি বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা ও রেডিয়েশন বা বিকিরণ চিকিৎসা। এর বাইরেও আরো অনেক পদ্ধতি আছে। যেমন হরমোন চিকিৎসা, ইমিউনোথেরাপি যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া আরো অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। তবে এ তিনটিই প্রধান। এছাড়া কোন টাইপের ক্যান্সার তা বোঝার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। তারপর কোন টাইপের ক্যান্সার সেটার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় কোন ধরনের চিকিৎসা করা হবে। এছাড়া আরো কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়। সেটা হলো রোগীকে আমরা কী উদ্দেশ্যে চিকিৎসা দেব? অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম থাকে, তখন রোগটা ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এটাকে আমরা বলি প্রশমন সেবা। 

২০ বা ৩০ বছর আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশে চিকিৎসা অনেক উন্নত হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্যান্সারের ডায়াগনোসিসের আরো অনেক পদ্ধতি আসছে। সেটা ধাপে ধাপে চলে আসছে বাংলাদেশে। এছাড়া আগে আমাদের ক্যান্সারের ভালো সার্জন ছিল না। এখন তা আছে। এখন অনেক সার্জিকাল অনকোলজিস্ট আছে। এক্ষেত্রে দক্ষতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। আগে যে পদ্ধতিতে রেডিওথেরাপি দেয়া হতো, তার থেকে এখন অনেক উন্নত প্রযুক্তি এসেছে। 

প্রথম বাংলাদেশে রেডিওথেরাপি বা বিকিরণ চিকিৎসাটা শুরু হয় কুমুদিনী হাসপাতালে। সেই মেশিন ছিল প্রাথমিক প্রযুক্তির ডিপ এক্স-রে মেশিন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যেত। পরে আরো পদ্ধতি এসেছে, যেমন কোবাল্ট। এ যন্ত্রগুলোর ক্ষমতাও বেড়েছে। সর্বশেষ মেগাভোল্টেজ এক্স-রে প্রযুক্তি এসেছে, যেটাকে আমরা বলি লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিন। এ ধরনের মেশিনগুলো সরকারি ও প্রাইভেট অনেক হাসপাতালে আছে। এগুলো সবই টেলিথেরাপি, যেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে একটু দূর থেকে রেডিয়েশন থেরাপি প্রয়োগ করে ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করা হয়। আরেক ধরনের রেডিওথেরাপি আছে, যেটার নাম ব্র্যাকিথেরাপি। সাধারণত জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এ থেরাপি ব্যবহার করা হয়। শতকরা ১০ ভাগের মতো ক্ষেত্রে এ ধরনের মেশিনগুলো কাজে লাগে। এ পদ্ধতি আমাদের দেশে চালু আছে। সরকারিভাবেও আসছে, বেসরকারিভাবেও আসছে। তবে চাহিদার তুলনায় এখনো আমরা একটা ভয়াবহ সংকটের মধ্যে আছি। 

জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছয়টা রেডিওথেরাপির মেশিন আছে। সারা দেশে এত রোগী আছে যে ছয়টা মেশিন চালু থাকলেও তিন থেকে ছয় মাস পরে তারিখ পাওয়া যেত। তবে কিছু ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে থেরাপি দেয়া হতো। মাঝখানে বেশ কয়েক মাস পাঁচটা মেশিনই বন্ধ ছিল। এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাগত কিছু গাফিলতি ছিল। মেশিনগুলোর আয়ু শেষ হয়ে যাচ্ছে সবাই জানত। তাই সময়মতো মেশিনগুলো মেরামত ও কেনা হয়নি। যার কারণে সাধারণ দরিদ্র রোগীরা ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়ে। বর্তমানে দুটি মেশিন মেরামত করে সচল করা হয়েছে। আরো দুটি মেশিন কেনার প্রক্রিয়ায় আছে। তবে এগুলো আসতে ছয় মাস সময় লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ এ সমস্যার সমাধান হতে আরো সময় লাগবে। 

প্রাইভেট সেক্টরে অনেকগুলো রেডিওথেরাপির মেশিন আসছে। কিন্তু ডব্লিউএইচওর হিসাব অনুযায়ী, ১৬০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র লাগবে। তার তিন ভাগের এক ভাগেও আমরা পৌঁছতে পারিনি। বেসরকারি পর্যায়ে যেসব চিকিৎসা কেন্দ্র হচ্ছে সেগুলোও ঢাকার বাইরে খুব একটা হচ্ছে না। আর চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। যাদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগ আছে, তারা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখানে এত খরচ দিয়ে চিকিৎসা করতে পারে না। এটাই এ দেশের বাস্তবতা। এজন্য তারা জমিজমা বিক্রি করে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। যারা পারেন না, তারা কবিরাজি বা অন্য উপায়ে চিকিৎসা নেন। এভাবে আসলে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ভালো ফলাফল হয় না। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে রোগীরা কিছু ওষুধের সরবরাহ পেয়ে থাকে। সবাইকে সব ওষুধ দেয়া সম্ভব হয় না। রোগীদের ওষুধ কিনতে হয়। অন্যান্য হাসপাতালে আবার এ ওষুধের সাপ্লাই নেই। রোগীর নিরাপত্তার জন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয় । কারণ কেমোথেরাপি এমন একটা বিষয় যা দিতে গেলে শরীরের লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, রক্তের কোষগুলা সব ঠিকমতো আছে কিনা, এসব দেখেই চিকিৎসা দেয়া হয়। এজন্য খরচ বেশি হয়। অনেক মানুষ সেটার ব্যয় বহন করতে পারে না। এটাও একটা সমস্যা। সার্জারির কথা বলি। একসময় জেনারেল সার্জনরাই ক্যান্সারের অপারেশন করতেন। তবে এখন ক্যান্সার সার্জারির জন্য সার্জিক্যাল অনকোলজি নামে এফসিপিএস কোর্স আছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সংখ্যা এখনো যথেষ্ট না। ক্যান্সারের শল্য চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি। বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের অপারেশন করতে গেলে সার্জিক্যাল টিমের চার্জই হয়ে যায় প্রায় ১ লাখ টাকা। আবার ঢাকা শহরে বড় বড় হাসপাতালে এ অপারেশনগুলো করতে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ পড়ে যায়। তাই দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে যদি একটু ভর্তুকির ব্যবস্থা করা যায় বা একটু সাশ্রয়ীভাবে দেয়া যায় সেদিক নিয়ে ভাবা দরকার। আমি তাই মনে করি অলাভজনক হাসপাতাল আরো হওয়া দরকার। গণস্বাস্থ্য কম খরচে চিকিৎসা দেয়। তারা এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এখনো রেডিয়েশনের টেলিথেরাপি মেশিন নেই। তবে সর্বশেষ প্রযুক্তির ইলেকট্রন ব্র্যাকিথেরাপি মেশিন আছে। দ্রুতই তারা সমন্বিত চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করবে। প্রথমে ধানমন্ডির নগর হাসপাতালে। এরপর মিরপুর ও সাভারে। 

বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করে, তাই তাদের খরচটা একটু বেশি হবে। তবে গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সেবা ফ্রি দেয়ার একটা নিয়ম আছে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কিছু রেয়াত পাওয়ার বিনিময়ে। কিন্তু এটা আসলে কেউ দেয় বলে মনে হয় না। এজন্য অলাভজনক প্রচুর হাসপাতাল হওয়া দরকার। আমাদের দেশে এখন প্রচুর ধনবান ব্যবসায়ী আছেন। তারা দরিদ্র মানুষের জন্য হাসপাতাল বানাতে পারেন। বিদেশে এমন অনেক আছে। যেমন ভারতের টাটা গ্রুপ টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল করে দিয়েছে। তারা সেখান থেকে লাভ নেয় না। তারা সেটা এমনভাবে করে দিয়েছে যাতে সেখানে ধনী-গরিব সবাই চিকিৎসা পায়।

বাংলাদেশের যারা বড় বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি আছেন, তাদের কাছে আমরা আহ্বান জানাই, যাতে ক্যান্সারের মতো রোগের জন্য তারা অলাভজনক হাসপাতাল তৈরি করেন। সচ্ছল মানুষ এখানে চিকিৎসা নেবেন পুরো খরচ দিয়ে। মধ্যবিত্তরা একটু কম খরচে চিকিৎসা পাবেন। নিম্নবিত্তরা আরো কম খরচে। আসলে সরকার বাংলাদেশের সব ক্যান্সার রোগীকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেবে এটা তো সম্ভব না। আমাদের দেশের এখনো অতটা সামর্থ্য হয়নি যে আমরা সব দরিদ্র রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে পারব। 

শুধু ঢাকা শহরে হাসপাতাল চালু করলে হবে না। ঢাকার বাইরে বাকি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কাজটা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এটা যাতে দ্রুত শেষ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

লেখক: প্রকল্প সমন্বয়কারী, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতাল ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন