নাশকতার মামলায় গ্রেফতার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামীকাল নির্ধারণ করেছেন আদালত। জামিন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল বিন আতিকের আদালত গতকাল শুনানির পরবর্তী দিন ঘোষণা করেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান। বিচারক পরে তারিখ জানাবেন বললে আদালত কক্ষে মৃদু হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, ‘ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে জামিন শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। তখন ফখরুল ইসলামের আইনজীবীরা এর বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জামিন শুনানির নতুন দিন ঠিক করেন।’
অন্যদিকে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন ও মাসুদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ মৌখিকভাবে শুনানির জন্য আবেদন করেছে। আপনি দয়া করে মঙ্গল বা বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।’
এ সময় বিচারক বলেন, ‘আপনারা রাষ্ট্র পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শুনানি কবে করতে পারবে জানান।’ পরে শুনানির জন্য আগামীকাল দিন নির্ধারণ করা হয়। এরপর বিচারক অন্য মামলার শুনানি করতে চাইলে হট্টগোল শুরু হয়। তখন বিচারক এজলাস ত্যাগ করে চলে যান।
এ মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সেদিনই তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং পরদিন তাকে আদালতে নেয়া হলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
