মিরসরাইয়ে ২৭০ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন বীর নিবাস

রাজু কুমার দে, মিরসরাই

মিরসরাইয়ের দুর্গাপুরে নবনির্মিত বীর নিবাস ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ২৭০ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারবীর নিবাস মুজিব বর্ষ উপলক্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের এসব একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ২২১টি ভবনের কাজ চলমান। দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকি ৪৯টি ভবনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ের ২২১টি বাড়ির মধ্যে একটির কাজ শেষে গত আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩০টি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি ভবনের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা দেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন দুটি পৌরসভার ২৭০ অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাসভবন নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এগুলোর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২১১টি দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৯টি ঘর দেয়া হবে। প্রতিটি ভবনের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ৭৩২ বর্গফুট  আয়তনবিশিষ্ট বীর নিবাসে রয়েছে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

নির্মাণকাজ শেষে গত আগস্ট সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহম্মদকে বীর নিবাস বুঝিয়ে দেয়া হয়। সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ৩০টি ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি ১৯০টির ভবনের কাজ চলমান।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে মোট ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন হাজার ১০০ জন। এছাড়া আরো প্রায় এক হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশগ্রহণের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণসহ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের নিবন্ধন দেয়া হবে। দেশের অন্য কোনো উপজেলায় এত বেশি মুক্তিযোদ্ধা নেই বলে দাবি করেআমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মিরসরাই উপজেলা শাখার সভাপতি নয়ন কান্তি ধুম বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা মিরসরাইয়ে। তাই অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারবীর নিবাস মিরসরাইয়ে বেশি নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ভবনবীর নিবাস পাওয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহম্মদ বলেন, ‘দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল পাকা ঘরে ঘুমাব। কিন্তু সাধ্য না থাকায় পাকা দালান গড়তে পারিনি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ জানান, মিরসরাইয়ে ২৭০ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাবীর নিবাস পাবেন।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় বুধবার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহম্মদের ভবনটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্য ঘরগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। পর্যাক্রমে সব ভবনের কাজ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন