আলোকপাত

বিদ্যুৎ ও পানির অপচয় রোধে আমাদের করণীয়

ড. এএসএম সাইফুল্লাহ

ভূতাত্ত্বিক কালপঞ্জিতে আজকের যুগকে অনেক ভূতাত্ত্বিক ও পরিবেশবিজ্ঞানীরা এন্থ্রোপোসিন (anthropocene) বা মানবসৃষ্ট যুগ বলে থাকেন, কারণ সর্বশেষ বরফযুগের পর পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গঠন ও পরিবেশ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় অনুঘটক মানুষ। পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক গঠন ও পরিবেশ পরিবর্তনের প্রধানতম কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশেষত শিল্প বিপ্লবের পর ক্রমবর্ধমান জ্বালানির ব্যবহারের কারণে এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে তা আর আগের অবস্থায় ফেরানো যাবে না। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির মজুদ শেষের পথে হলেও বিশ্বের প্রায় সব দেশ এখনো পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। আবার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বিদ্যুতের বিকল্প নেই। কিন্তু একদিকে দেশের ভেতর গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন কোনো খনি আবিষ্কৃত হয়নি। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জ্বালানি সরবরাহ কমে গেছে। কাজেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বিদ্যুতের অপচয় রোধ অতিজরুরি।

যদিও দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে বন্দর, নগর, শহর সর্বত্র বিদ্যুৎ সুবিধা বিদ্যমান, বিদ্যুতের ব্যবহার মূলত বেশি হয়ে থাকে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সেখানেও রয়েছে বিদ্যুতের অপরিকল্পিত ব্যবহার, সঞ্চালন ব্যবস্থায় ত্রুটির ফলে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ফ্যান, লাইট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সেলফোনসহ নানা ধরনের ডিভাইস, গেজেট, যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি যেগুলোর বৈদ্যুতিক চার্জ সম্পন্ন হওয়ার পরও বৈদ্যুতিক সংযোগে রেখে দিই, ফলে অনেক বিদ্যুৎ অপচয় হয়।

আর বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সহজলভ্যতার কারণে শহরের সব সুবিধা পৌঁছে গেছে গ্রামে। মানুষ সহজেই সুইচ টিপলেই আলো পাচ্ছে, মাথার ওপর ফ্যান ঘুরছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র স্বস্তিময় ঠাণ্ডা পরিবেশ দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আমরা ভূগর্ভস্থ পানিকে আমাদের ব্যবহারের জন্য নিজের হাতের নাগালে নিয়ে এসেছি। কল ঘুরালেই এখন পান করার কিংবা নিত্যব্যবহারের পানি পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের জ্ঞানের অভাবজনিত অপচয়প্রবণতা সর্বত্রই লক্ষণীয়।

লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ২০১৮ সালে প্রকাশিত তাদের একটি গবেষণায় জানিয়েছে, খোদ মার্কিন মুলুকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৬৮ শতাংশ অপচয় করা হয়। যেখানে প্রযুক্তির এত উৎকর্ষ সেখানকার অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে অন্যত্র অপচয়ের পরিমাণ আরো বেশিও হতে পারে। এসব অপচয় রোধে প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা জরুরি। পাওয়ার স্টোরেজ বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান ফুয়েরগির একটি সমাধান হলো “স্মার্টগ্রিড” তৈরি করা। ফুয়েরগির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা দোস্লাভস্টম্পফের মতে, এ পদ্ধতিতে রিয়েল টাইমে সংগৃহীত ‘বিগ ডাটা’ বিশ্লেষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল এবং মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব এবং এ বিদ্যুৎ বিভিন্ন ডিভাইসে প্রয়োজনমাফিক সরবরাহ হবে যাতে অব্যবহৃত বিদ্যুৎ সিস্টেমে থেকে যাবে এবং অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে।

আমরা আমাদের বাসস্থান, অফিস-আদালত, সড়ক—সর্বত্র আলোকিত করার জন্য বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করছি এবং এটাও দেখছি, প্রয়োজন ছাড়া বিভিন্ন সময় বাতিগুলো জ্বলছে। আমরা স্মার্ট সিস্টেম যেমন সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু প্রয়োজনে জ্বলবে এবং আলোকস্বল্পতা ও পর্যাপ্ততার সঙ্গে পরিবর্তিত হবে—এমন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারি। অনেক দেশে সর্বত্র এবং অধুনা আমাদের দেশে কিছু কিছু জায়গায় সেন্সরনির্ভর আলোক বাতি ব্যবহার হচ্ছে।

এবার সচেতনতার কথা বলি, আমরা আমাদের অফিস, শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার যেখানেই বৈদ্যুতিক বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র ব্যবহার করি এবং প্রয়োজন ছাড়াও চালু রাখি এবং এতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয় তা দিয়ে অনেকের প্রয়োজন মেটানো যায়। তাই প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অপচয় রোধে নিজেদের সচেতন হওয়া।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে এখনো আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। এবং খেয়াল করলে দেখা যাবে, বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ যুদ্ধের পেছনে রয়েছে এসব জ্বালানির ওপর দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠা এবং এ কারণে জ্বালানির দাম প্রায়ই বেড়ে যায়। অতএব আমরা বিদ্যুৎ ব্যবহারে যদি পরিমিত না হই তাহলে আমাদের ব্যয় বেড়ে যাবে, অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হবে এবং আমরা বিপৎসংকুল হব। তাই বিদ্যুৎ ব্যয়ে আমাদের যেমনি সংযমী হতে হবে, তেমনি নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সূর্যালোক ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি ব্যবহার করে উইন্ড মিলের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এগিয়ে যেতে হবে।

পানির ক্ষেত্রেও বিপত্তি কম নয়। সাধারণ মানুষ পানিকে প্রকৃতির একটি অফুরন্ত নিয়ামক হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু তারা জানে না যে ভূগর্ভস্থ পানি সসীম, অসীম নয়। তারা এও জানে না যে বিশ্বের অনেক মানুষ এখনো পর্যাপ্ত পানি পানের সুযোগ পায় না। বিশেষ করে বিশ্বের অনেক দেশেই বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে ৬ নম্বরে রয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য সুপেয় বা বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষের আওতার মধ্যে পানির কোনো উৎস রয়েছে৷ কিন্তু এর সবটাই পানযোগ্য নয়।৷ বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির যেসব উৎস রয়েছে সেগুলোও ধীরে ধীরে দূষিত হয়ে পড়ছে।

শঙ্কার বিষয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দেখা যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়া। শহরে লোকসংখ্যা বাড়ছে সঙ্গে পানির চাহিদাও বেড়ে চলছে। আর যে হারে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, সে হারে পানির স্তর পূরণ হচ্ছে না। বর্ষার মৌসুমে বাংলাদেশের বেশির ভাগ জায়গায় পানির ভূগর্ভস্থ স্তর স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এলেও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল ও দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক পর্যায়ে আসে না। ফলে এসব অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট বেড়েই চলছে।

আমরা আজ ভোগবাদের যুগে সম্পদের সীমাবদ্ধতাকে ভুলে গিয়ে কোনো রকম সংরক্ষণশীল মনোভাব না রেখে যতভাবে পারছি সম্পদ আহরণ করে তা ভোগে ব্যবহার করছি। সম্পদের পরিমাণ দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে, সম্পদের অভাব দেখা দিচ্ছে এবং এ নিয়ে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলছে এবং মানব জাতি দিন দিন বিপন্ন হচ্ছে। পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশ পানি দ্বারা আবৃত হলেও ব্যবহারযোগ্য পানির অভাব প্রকট হচ্ছে দিন দিন। অনেকে আশঙ্কা করে বলেছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে পানিকে কেন্দ্র করে।

পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ মিঠাপানি ব্যবহার করা হয় কৃষিকাজে। বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ কৃষিকাজ সেচের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে খেতগুলোকে পানিতে ডুবিয়ে ফেলা হয় এবং পানির স্বল্প একটা অংশ উদ্ভিদ গ্রহণ করে আর সিংহভাগ অপচয় হিসেবে কৃষিজমির সার, কীটনাশক ধুয়ে নিয়ে খাল, নদী পেরিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রকে দূষিত করে।

বিশ্বের কিছু দেশ এখন ড্রিপ সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করছে যাতে পানি সরাসরি উদ্ভিদের শেকড়ে পৌঁছে। যদিও পদ্ধতিটি ব্যয়বহুল তবু অনেক ফসল চাষের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যায়। অনেক দেশ স্প্রিঙ্কলার পদ্ধতি ব্যবহার করছে যাতে পানির অপচয় যেমন কম হয়, তেমনি দূষণও কমে যায়।

আমাদের দিনের শুরু হয় পানির ব্যবহার দিয়ে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পানি ব্যবহার চলমান থাকে। আমরা কখনো হয়তো চিন্তাও করি না আমাদের বাসা, অফিস কিংবা কর্মক্ষেত্রে কী পরিমাণ পানি অপচয় করি।

ছোট্ট একটি উদাহরণ হতে পারে, আমরা যখন দাঁত ব্রাশ করি, তখন যদি পানির কল বন্ধ রাখি তাহলে প্রতি মিনিটে ছয় লিটার পানির অপচয় রোধ সম্ভব। আমরা অনেকে দীর্ঘ সময় গোসল করি এবং পুরো সময়জুড়ে কী পরিমাণ পানি প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করি হয়তো কখনো ভেবে দেখি না। ধারণা করা হয়, গোসলের সময়ভেদে একজন মানুষ প্রতি মিনিটে ৬-৪৫ লিটার পানি ব্যবহার করে। এত পানি গোসলের জন্য দরকার নয়। 

শৌচাগারে একটি পূর্ণ ফ্ল্যাশে সাধারণত ছয়-সাত লিটার পানি খরচ হয়। তাই প্রয়োজন ছাড়াও বারবার ফ্ল্যাশ করা উচিত নয়। এখন আধুনিক ফ্ল্যাশে দুটি বাটন থাকে। ফ্ল্যাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে যেখানে কম পানি ব্যবহার প্রয়োজন সেখানে এক বাটন চাপলে পানির অপচয় অনেক কমে যাবে। 

আমরা প্রায়ই পানির কল ঠিকভাবে বন্ধ করি না কিংবা ত্রুটিপূর্ণ পানির কল ব্যবহার করি, ফলে কল থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়তে থাকে। এ ফোঁটা ফোঁটা পানির হিসাব করলে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ১৫ লিটার এবং বছরে ৫ হাজার ৫০০ লিটার পানি অপচয় হয়।

আমাদের বাড়ির ছাদে রক্ষিত পানির ট্যাংকে পানি ওঠাতে গিয়ে অনেক সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করি এবং অতিরিক্ত পানি উপচে পড়ে অপচয় হতে দেখি। আমরা সচেতন হয়ে সময়মতো পাম্প বন্ধ করে পানির অপচয় রোধ সম্ভব। প্রযুক্তির উন্নয়নের এ সময়ে আমরা সেন্সর উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহারের মাধ্যমে পানি উত্তোলন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এতে পানির ট্যাংক পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প বন্ধ হয়ে যাবে এবং পানি উপচে পড়া বন্ধ হবে।

শহুরে বিত্তশালী লোকজন পানির অপচয় বেশি করে থাকে, ব্যক্তিগত যানবাহন পরিষ্কার, বাগানে পানি দেয়া সব ক্ষেত্রেই পানির অপচয় হচ্ছে। মনে করা হয়, বাগানে হোসপাইপ দিয়ে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ লিটার পর্যন্ত পানি খরচ হতে পারে। একটি গাড়ি হোসপাইপ কিংবা স্প্রের মাধ্যমে পরিষ্কার করতেও কমপক্ষে ৩০০ লিটার পানি খরচ হয় বলে ধারণা করা হয়। সেক্ষেত্রে গাড়ি পরিষ্কারের প্রক্রিয়াটি পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ব্যবহার করে স্পঞ্জ করতে পারি, এতে পানির অপচয় কমে যাবে। আমরা আমাদের গোসলখানা থেকে গোসলের পর, রান্নাঘর থেকে যে পানি নিঃসরণ করি সেটা সংরক্ষণ করে বাগানের গাছে পানি ব্যবহার করতে পারি। 

আমরা আমাদের জীবনকে বিলাসবহুল করতে পানি এবং বিদ্যুতের যথেচ্ছ ব্যবহার করে চলছি। আমরা কখনো হয়তো ভেবে দেখি না, আমাদের অপচয়ের কারণে ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ বাড়লেও ঘাটতি সৃষ্টি এবং আমরা নতুন নতুন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছি। 

পানি এবং বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে গেলে আমাদের দুটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। প্রথমত, ব্যবহারকারীদের মাঝে অপচয়ের বিরুদ্ধে নৈতিক সচেতনতা বাড়াতে হবে, দ্বিতীয়ত প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং এর প্রয়োগের মাধ্যমে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সম্পদে সমাজের সবার অধিকার রয়েছে এবং সম্পদ মূলত সমাজের। তাই যার অর্থ আছে সে অর্থের বিনিময়ে যথেচ্ছা সম্পদ কিনে খেয়াল-খুশিমতো ব্যবহার করতে পারে না।

ড. এএসএম সাইফুল্লাহ: অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন