কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক

সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিলেন কুমারখালী পৌর মেয়র

শুভব্রত আমান, কুষ্টিয়া

কুমারখালীতে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের ডেবে যাওয়া অংশ ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। মহাসড়কের কুষ্টিয়া থেকে খোকসা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সংস্কার পুনর্নির্মাণকাজ করতে ব্যয় হয় ১৯০ কোটি টাকা। পুনর্নির্মাণ সংস্কারের আওতায় বিদ্যমান ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কটি দুই পাশে আরো ফুট করে ফুট প্রশস্ত করার পাশাপাশি মাঝের ১৮ ফুট শুধু ওপরের অংশ সিলকোট করা হয়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। সংস্কারের কাজটি পায় মেহেরপুর জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন, কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই সড়কের বেশকিছু অংশ ডেবে যায়। কোথাও সড়কের মাঝে, কোথাও সড়কের পাশে সরু খাল গর্ত সৃষ্টি হয়।

সড়কটির ডেবে যাওয়া অংশে ২০২০ সালের জুনে প্রথম সংস্কারকাজ শেষ করেন ঠিকাদার। পরের বছরের শুরুতে আবার কিছু অংশ ডেবে যায়। ২০২১ সালে জুন মাসে ফের ডেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। এভাবে ২০২২ সালে কয়েক দফায় ডেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। সর্বশেষ মে সংস্কারকাজ করা হয়, কিন্তু এক মাসের মধ্যেই আবার একই অংশ ছাড়াও নতুন কিছু অংশ ডেবে গেছে।

বর্তমানে ডেবে যাওয়া স্থানগুলোয় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ বৃহস্পতিবার সকালে মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে সংস্কারকাজ বন্ধ করে দেন।

মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ বলেন, ‘বার বার একই জায়গায় সড়ক ডেবে যাচ্ছে, আর সড়ক বিভাগ সংস্কার করছে। এতে সরকারি অর্থ অপচয় হচ্ছে। একই সঙ্গে বারবার জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। সংস্কারকাজটিও খুবই যেনতেনভাবে চলছিল। স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জহরুল কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবুল হাশেম বিষয় নিয়ে কোনো  মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কুষ্টিয়া সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম আজাদ খান জানান, তারা ডেবে যাওয়া অংশে সংস্কারকাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু মেয়র কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। কুমারখালী অংশে কাজ বন্ধ থাকলেও পাশের খোকসা উপজেলার অংশে সংস্কারকাজ চালু রয়েছে। ব্যাপারে মেয়রের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন