আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি বিক্রি কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

আন্তর্জাতিক বাজারে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিক্রি কমে ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমেছে। গত মাসের তুলনায় বিক্রির পরিমাণ কমেছে সাড়ে তিন লাখ টন। খবর অয়েলপ্রাইস ডটকম। 

মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তুলনামূলক কম এলএনজি বিক্রি করেছে। তবে এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার বাজারে বিক্রির পরিমাণ ছিল বেশি। গত মাসে এশিয়ার বাজারে মার্কিন এলএনজির চাহিদা ছিল বেশি। অন্যদিকে এশিয়ায় জুলাই মাসে সরবরাহের জন্য এলএনজির দামও বেড়েছে। তবে ইউরোপে দাম কিছুটা কমেছে। এর অর্থ, এ অঞ্চলে মার্কিন এলএনজির চাহিদা কম। 

মে মাসে মোট রফতানির ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ এলএনজি ইউরোপে পাঠানো হয়েছে। এশিয়ার বাজারে পাঠানো হয়েছে ১৪ শতাংশ। এছাড়া লাতিন আমেরিকায় রফতানি করা হয়েছে ১১ শতাংশ। 

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এলএনজির চাহিদা বেশি। কারণ ইউরোপের দেশগুলো আমদানি টার্মিনাল নির্মাণে তাড়াহুড়ো করছে। রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে তা নিশ্চিত করতে জোর প্রয়াস চালানো হচ্ছে। 

তবে চাহিদা বৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রে পর্যাপ্ত সরবরাহ সত্ত্বেও দাম বাড়ায় আগামী কয়েক মাস রফতানি আরো কমতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী সুদ হারের কারণে অর্থায়ন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি চুক্তি করায় অনীহা তৈরি হয়েছে।

মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি দৈনিক ১ হাজার ২১০ কোটি ঘনফুটে পৌঁছতে পারে, গত বছরের চেয়ে যা ১৪ শতাংশ বেশি। আগামী বছর রফতানি ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দৈনিক ১ হাজার ২৮০ কোটি ঘনফুটে।  

ইআইএ জানায়, রাশিয়া থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় অঞ্চলটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি বাড়াচ্ছে। উদ্দেশ্য সম্ভাব্য সংকট রোধ করা। ফলে বেড়েছে বৈশ্বিক চাহিদা, যা যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি বাড়াতে রসদ জোগাচ্ছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন