বাংলাদেশের রূপান্তরে এনজিও যুগের পরিসমাপ্তি কি

সাইফুল ইসলাম বাপ্পী ও আনিকা মাহজাবিন

এনজিওননগভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন বা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। দেশী-বিদেশী উৎস থেকে পাওয়া তহবিল কাজে লাগিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নানা কর্মসূচি প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বাধীনতার পরের কয়েক দশকে দেশের উন্নয়ন অর্থনীতিতে সংস্থাগুলো বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গত এক দশকে সংস্থাগুলোয় বিদেশ থেকে তহবিল আসা এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে কমেছে এনজিওগুলোর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সামাজিক ক্ষমতা। টিকে থাকতে এখন বাণিজ্যিক রূপান্তরের পথ বেছে নিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এখন আর তহবিলের জোগান দিতে চাইছে না বিদেশী দাতারা। এছাড়া কভিডকালীন বিপত্তি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান দুঃসময়ও এখানে বড় একটি ভূমিকা রেখেছে।

স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এনজিও। এগুলোর মধ্যে রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট, কেয়ার, কারিতাসের মতো বিদেশী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখানে সক্রিয় পাকিস্তান আমল থেকেই। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এনজিওর সংখ্যা কার্যক্রম বেড়ে যায়। ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ সত্তরের দশকের বড় কয়েকটি দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত এবং মানবিক সংকটে পতিত হয় বাংলাদেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে কার্যক্রম শুরু করে দেশী-বিদেশী অনেক এনজিও। দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া তহবিলে ভর করে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতে নিয়েছিল অনেক কর্মসূচি। আশি নব্বইয়ের দশক এমনকি চলতি শতকের শুরুর দশকেও দেশের উন্নয়ন আলোচনার বড় একটি অংশজুড়ে ছিল এসব প্রতিষ্ঠান।

নাজুক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে এনজিওগুলোর ভূমিকা বেশ আলোচিত হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ . মুহাম্মদ ইউনূস এবং ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন। ক্ষুদ্রঋণ কল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের তৈরি করা মডেলগুলো হয়ে উঠেছিল পণ্ডিত মহলে আলোচনার বিষয়বস্তু।

পরিস্থিতিতে পরিবর্তন দেখা যায় গত দশকে। বড় ধরনের অগ্রগতির দেখা পায় বাংলাদেশের অর্থনীতি। শক্তিশালী হয়ে ওঠে ব্যক্তি খাত। এর ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এনজিওগুলোরও কাজের ক্ষেত্র অনেকটাই সংকুচিত হয়ে আসে। একই সঙ্গে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহেও ভাটা পড়ে।

সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর তালিকা অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা হাজার ৫৫৮। এসব এনজিওর মধ্যে ব্র্যাক, আশা, কারিতাস, কেয়ার, ব্যুরো বাংলাদেশ, শক্তি ফাউন্ডেশন, অক্সফাম বাংলাদেশ, টিএমএসএস, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব এনজিও এখন কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও আগের মতো তহবিল সংগ্রহ করতে পারছে না।

এনজিওগুলোয় দাতাদের তহবিলে জোগান দেয়া কমে আসার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ২০২১ সালে। ওই সময়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাকের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের চুক্তি (এসপিএ) থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ সরকারের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ সহায়তার ভিত্তিতে দেশে অনেকগুলো বৃহদায়তনের কর্মসূচি নিয়েছে ব্র্যাক। এর আওতায়ই দেশে পরিচালিত হয়েছে বৃহত্তম অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম। কার্যক্রমের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছে কোটি ২০ লাখ শিশু। আল্ট্রা পুওর কর্মসূচির আওতায় দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে বের করে আনা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ পরিবারকে। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দশকে ব্র্যাকে সব মিলিয়ে ৪৫ কোটি পাউন্ডের মতো সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

শুধু ব্র্যাক নয়, দেশের অন্যান্য এনজিওকেও এফসিডিওর (সাবেক ডিএফআইডি) মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। কভিডকালীন দুর্বিপাকের মধ্যে ২০২০ ২০২১ সালজুড়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশে অনুদান সহায়তা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। সিদ্ধান্তেরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাকসহ বাংলাদেশী এনজিওগুলোয় ব্রিটিশ অনুদান সহায়তা এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

বর্তমানে ব্র্যাকের এনজিও কার্যক্রমের পাশাপাশি বড় অংকের বাণিজ্যিক বিনিয়োগও রয়েছে। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, চা আবাসন শিল্পে বড় বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

এনজিও হিসেবে শুরু করে ব্যবসায়িক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া আরেক প্রতিষ্ঠান ঠ্যাঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) ষাটের দশকে কার্যক্রম শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দশক ধরে বগুড়ায় নারীর কর্মসংস্থান  ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেছে। বর্তমানে টিএমএসএস হয়ে উঠেছে বিভিন্ন খাতের এক উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি, আইটি, ফার্নিচার, প্রকাশনা, পোশাক, খাদ্য, কৃষি পর্যটনসহ অনেকগুলো শিল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে টিএমএসএসের। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে টিএমএসএস ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত। এসব কার্যক্রমের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৮০ লাখেরও বেশি।

উত্তরবঙ্গের প্রথম পাঁচতারা হোটেল মোমোইন লিমিটেড গড়ে তুলেছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (বিসিএল) গ্রুপ। গ্রুপটির প্রধান শেয়ারহোল্ডারদের অন্যতম টিএমএসএস। বিসিএল এখন বৃহৎ এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পেপার মিল, বোর্ড মিল, এভিয়েশন, আবাসন, সুপারস্টোর, ট্রেডিং, জ্বালানি, ইটভাটা, কেমিক্যাল, খাদ্য, বিউটি কেয়ারসহ নানা খাতে বিনিয়োগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সামনের দিনগুলোয় গ্লাসসহ আরো কিছু খাতে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বিসিএল।

এছাড়া টিএমএসএসের সরাসরি তত্তাবধানে হ্যান্ডিক্রাফট, আইটি, বিপণিবিতান, খাদ্য, কৃষিপণ্য, রিক্রুটিং এজেন্সি, নিরাপত্তা এজেন্সি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, হিমাগার, ফার্নিচার, প্রিন্টিং প্রেস, পোশাক, পর্যটন এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির মতো ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।

টিএমএসএসে বিদেশী অনুদান কমে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপপরিচালক ডাক্তার মতিউর রহমান বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান নিয়ে অবহেলিত নারী দুস্থদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছি। এর আগে বৈদে?শিক অনুদান পেয়ে বিগত দিনে নানা কর্মসূচি পালন করলেও এখন অনুদান তেমন একটা আমরা পাচ্ছি না। সে ক্ষেত্রে টিএমএসএসের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনায় নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান করতে এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক থেকে অনুদান নিয়ে সমাজের নারী অবহেলিত মানুষ এবং দুস্থদের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি আমরা। অনুদান বিদেশ থেকে আর্থিক সহযোগিতা না আসায় আমরা নিজেরাই এখন বিভিন্নভাবে ব্যবস্থা করে অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মূলত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্ট্যাটাস বেড়ে যাওয়ার কার?ণেই বৈ?দে?শিক তহবিল আসছে না।

গ্রামের ভূমিহীন মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু করে আশা। এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি শুরুর দিকে শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত দেশের সাড়ে ৭২ লাখ গ্রাহক ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের বিস্তার ঘটেছে আফ্রিকা দক্ষিণ আমেরিকায়। পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে রংপুর আশার এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, করোনার আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিনামূল্যে এবং নামমাত্রমূল্যে পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্প সীমিত করাসহ চিকিৎসা প্রকল্প আপাতত স্থগিত করেছে এনজিও কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা কার্যক্রমে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হতো। শিক্ষার্থীরা শুধু প্রতি মাসে বেতন হিসেবে ৩০ টাকা দিত। বাকি সব খরচ এনজিও বহন করত। বর্তমানে আর্থিক ক্ষতির কারণে আশার অনেক বিদ্যালয় বন্ধ আছে। চিকিৎসা প্রকল্পও এখন বন্ধ। করোনার আগে সদস্যদের ফিজিওথেরাপি কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলেছিল। সেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে কর্তৃপক্ষ কর্মসূচি স্থগিত রেখেছে। তবে এখনো গাইবান্ধা জেলায় বিনামূল্যে হাসপাতাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা যাত্রা করে ১৯৭৬ সালে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৫৯ জেলার ২৪ হাজার ২১৩টি গ্রাম হাজার ১১০টি শহুরে বস্তিতে কার্যক্রম ছড়িয়েছে প্রশিকার। সংস্থাটিতেও এখন তহবিল আসা এক প্রকার বন্ধ রয়েছে।

প্রশিকার সাবেক ট্রেনিং পরিচালক শেখ শহীদুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, প্রশিকার শুরু থেকেই ট্রেনিং সেন্টারসহ কিছু আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করেছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের আয়ের উৎস হিসেবে মধু প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট, হ্যাচারি, তাঁতসহ আরো কিছু কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এতে করে যখনই প্রতিষ্ঠানটির বিদেশী তহবিল পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখনই এগুলো থেকে আসা অর্থ দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি কোনো তহবিল পাচ্ছে না।

খুলনা বিভাগের বৃহত্তম এনজিও যশোরভিত্তিক জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের পথচলা শুরু ১৯৭৫ সালে। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫০০ শাখা রয়েছে। কর্মী রয়েছে সাত হাজার। প্রতিষ্ঠানটিও এখন বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আজাদুর রহমান আরজু বলেন, এনজিওগুলো মূলত কার্যক্রম চালাত বিদেশী অর্থে। কিন্তু বর্তমানে বিদেশীদের ফান্ড খুবই সীমিত। যে কারণে উন্নয়নমুখী কার্যক্রমও আমাদের চলছে সীমিত আকারে। প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে এখন আমরা বেশি জোর দিচ্ছি মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রমে। একই সঙ্গে আমাদের প্রধান কার্যালয় যশোর অফিসের সঙ্গে রয়েছে চেইন সুপারশপ গ্রিনবাজার। বাণিজ্যিক কাজ ছাড়া এখন টিকে থাকা যাবে না।

এনজিও কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, কোনো গ্রেস পিরিয়ড ছাড়াই দাতাগোষ্ঠীর ধরনের একটি সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে অপ্রস্তুত করে ফেলে। পরিবর্তনটা আমার কাছে অনেক দ্রুত মনে হচ্ছে। দাতাগোষ্ঠীরও পর্যালোচনা করা উচিত তারা যে মানুষগুলোর কাজে অর্থটা দেয়, সে মানুষগুলোর কী হবে? এটা শুধু ব্র্যাকের অপ্রস্তুত হওয়ার বিষয় নয়। দাতাগোষ্ঠীরা তো ব্র্যাককে টাকা দেয় না। তারা একটি জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছতে চায়। সেখানে ব্র্যাক হচ্ছে মাধ্যম। যাদের কাছে পৌঁছতে চায়, সে জনগণ ধরনের পরিস্থিতির জন্য কতটা প্রস্তুত সেটাও দেখা উচিত। এখান থেকে আমাদের সবারই শিক্ষা নেয়া উচিত যে -জাতীয় নির্ভরতা সব সময় টেকসই হয় না।

(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন বণিক বার্তার যশোর, বগুড়া রংপুরের প্রতিনিধি)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন