সময়ের ভাবনা

মেধার চর্চা ও মেধা পাচার

মো. আবিদ মঈন খান

বাংলাদেশের দ্রুত বিকশিত ও আধুনিকায়নভিত্তিক উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বর্তমানে দেশের মেধা পাচার একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো দেশের জন্যেই মেধা মূলত একটি সম্পদ এবং সে দৃষ্টিকোণ থেকে মেধাবী ও দক্ষদের আমাদের দেশের সর্বক্ষেত্রের উন্নয়ন শক্তির জন্য প্রয়োজন। দেশের অনেক মেধাবী, দক্ষ ও উদ্ভাবনী প্রতিভা পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, অবকাঠামোগত পরিবেশ না থাকার কারণে ভিনদেশে স্থানান্তর হচ্ছে। এ মেধা পাচারের ফলে দেশের অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের দেশের কম-বেশি সব শিক্ষার্থী বিদেশে শিক্ষা নেয়ার একটি স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করে। যদিও বর্তমানে দেশে ৫০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১০০-এর অধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা খাতে আমাদের গত অর্থবছরে বাজেট ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা ছিল। যা কিনা মোট বাজেটের ১২ শতাংশ। তার পরও কেন আমাদের দেশে মেধাবী তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়ার প্রতি এত আগ্রহ, সেটা নিয়ে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন আসে। হয়তো চিরাচরিত অনেকেই উত্তর দেবে শুধু ভালো মানের শিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার চিন্তা করেছেন। তবে সেটি বাস্তবতা থেকে কিছুটা আলাদা। প্রকৃতপক্ষে অনেকেরই উদ্দেশ্য থাকে ডিগ্রির পাশাপাশি কাজ ও নাগরিকত্ব নিয়ে বিদেশে গিয়ে স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যাবেন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মেধা পাচারের অন্যতম শিকার। সাধারণত বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমালেও দেশে প্রত্যাবর্তনের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমছে। মূলত মেধা পাচার বলতে উন্নত সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চিত, নিরাপদ ভবিষ্যতের সন্ধানে উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলো থেকে উন্নত দেশগুলোতে মানব মূলধনের স্থানান্তরকে বোঝায়। 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপে দেখা যায়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) ১৫-২৯ বছর বয়সী প্রায় ৮২ শতাংশ তরুণ-তরুণী দেশ ছাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যদিও অনেকের মতে উচ্চশিক্ষা ও মেধা পাচার বিষয়টি আন্তর্জাতিক স্বাভাবিক মানবের অভিবাসন প্রক্রিয়ার একটি অনুষঙ্গ মাত্র। তবে আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য এমন মেধা পাচার একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং এবং উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ধরা দিয়েছে। প্রতি বছরই প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশী তরুণ-তরুণী বিদেশে যাচ্ছে। মহামারীর আগের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রায় ৮ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করেছিল। সম্প্রতি বণিক বার্তার প্রতিবেদনে এসেছে, বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম পছন্দের দেশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। গত বছর সেখানে প্রায় ১১ হাজার ১৫৭ জন উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। এছাড়া ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ৫৭টি দেশে ৪৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলেন আর ২০২২ সালেও প্রায় সমানসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য যান বলে জানা যায়। সাধারণত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এসব দেশকে প্রাধান্য দেয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ওসব দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান, পরিবেশ, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা, লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজ ও নাগরিকত্বসহ স্থায়ী বসবাসের সুযোগ। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে ব্যয় সামঞ্জস্য করার ক্ষেত্রে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। একজন উচ্চশিক্ষার মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং, পিএইচডি ও অন্যান্য শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তহবিল ছাড়াও সরকারের রাজস্ব খাত থেকে বড় একটা অংশ ব্যয় করতে হয়। সেই শিক্ষার্থী তার শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশের কল্যাণে কাজ করবে, এটিই দেশের প্রত্যাশা। অথচ দেশে মেধাবীরা বিদেশে পাড়ি জমিয়ে ভিনদেশের সেবা করছে। আমাদের গরিব দেশের মানুষের করের টাকায় অর্জন করা মেধা ব্যবহৃত হচ্ছে অন্য দেশে। 

মেধাচর্চার জন্য অবকাঠামোগত পরিবেশের অভাব ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে মেধা পাচারের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে চাকরির সীমিত সুযোগ। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষদের জন্য উচ্চবেতনের চাকরির সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া মেধাবীদের অবমূল্যায়ন ও অতিরিক্ত প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারের ফলে অনেক মেধাবী ও দক্ষ মানুষ নিজেদের ভাগ্য অন্বেষণে বিদেশে পাড়ি জমায়। আরো একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি এবং সুশাসনের অভাব। এরই সঙ্গে বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু খুব বেশি গবেষণাকেন্দ্রিক নয় আর সেখানে গবেষণা প্রণোদনা পরিমাণও সীমিত, তাই এখনো দেশে সম্পূর্ণভাবে গবেষণা অবকাঠামো ও পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাছাড়া দেশের গবেষণার আন্তর্জাতিক মানের অভাবসহ চৌর্যবৃত্তির একাধিক অভিযোগ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে দেশীয় গবেষণাকে, যার কারণে বহু মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেশে উচ্চশিক্ষা অর্জন ও গবেষণায় নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আরো একটি বিষয় হলো সাম্প্রতিক কিছু উন্নতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো প্রয়োজনীয় অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি, শিক্ষার মান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিলের অভাবসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান। এছাড়া সামাজিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার অভাব আরো একটি কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে। সামাজিক পর্যায়ে নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তা এবং অস্থিতিশীলতার কারণে অনেকেই এ দেশে স্থিতিশীল জীবন গড়ে তোলা কঠিন বলে মনে করেন। সামগ্রিকভাবে এ কারণগুলো বাংলাদেশ থেকে মেধা পাচারে ভূমিকা রাখছে, যার ফলে দেশ হারাচ্ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের এবং সেটার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ কোরিয়া বহু বছর ধরে মেধা পাচার দেখে আসছে। অনেক উচ্চমেধাসম্পন্ন দক্ষ পেশাদাররা বিদেশে আরো ভালো সুযোগ-সুবিধার জন্য নিজ দেশ ছেড়ে চলে গেছে। এ সমস্যা সমাধানে মেধাবী ও দক্ষ পেশাজীবীদের দেশে ধরে রাখতে এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। বাস্তবায়িত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘‌ব্রেইন কোরিয়া ২১’ (বিকে-২১)  প্রকল্প, যেখানে উচ্চমানসম্পন্ন মানবসম্পদ বিকাশের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও শিক্ষা প্রোগ্রামের জন্য বিশেষ তহবিল সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পটি আরো মেধাবী শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে বড় আকারের বৃত্তি প্রদান করা হয়। উপরন্তু, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার স্টার্টআপ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য আরো অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বিভিন্ন নীতি প্রবর্তন করেছে। এ নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে কর প্রণোদনা, তহবিল সহায়তা এবং বিদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ নমনীয় ভিসা পদ্ধতি। এতে করে তাদের বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনশক্তি দেশের ভেতর থেকে সরবরাহ করা সম্ভব হয়। এছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী সেক্টর তৈরি করতে ও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে দক্ষিণ কোরিয়া গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) ক্ষেত্র এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। তারা বিশ্বের নেতৃস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআরঅ্যান্ডডি) সেন্টারও প্রতিষ্ঠা করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আবাসনসহ তার নাগরিকদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি মেধাবী ও দক্ষ পেশাদারদের জন্য দেশকে আরো আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। এসব উদ্যোগের কারণেই মেধাবী ও দক্ষ পেশাদারদের দেশে থাকতে বা ফিরে আসতে উৎসাহিত করেছে। উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপগুলোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। একই সঙ্গে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে এমন নীতিগুলোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া মেধা পাচার মোকাবেলায় কাজ করে আসছে।

মেধা পাচার সম্পূর্ণভাবে রোধ করা উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কখনই পুরোপুরি সম্ভব হবে না। তবে বিভিন্ন মেয়াদি কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে এ প্রবণতাকে কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য করণীয় কী সেটা মেধা পাচারের কারণগুলোর দিকে তাকালে খুব সহজেই নিরূপণ করা যায়। অর্থাৎ যেসব কারণে এসব মেধাবী শিক্ষার্থী ও সুপ্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তি বিদেশে চলে যাচ্ছে সেগুলোকে প্রতিকার করতে হবে। দেশের মেধা পাচার কমিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে রয়েছে—বিশেষ মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্নদের জন্য বিশেষ উচ্চ বেতনকাঠামো নিশ্চিত করা, উন্নত আবাসন, ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ও সুবিধাদির ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা সাশ্রয়ী করা ইত্যাদি প্রয়োজন। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেধাভিত্তিক শিক্ষার্থী ভর্তি এবং মেধাবী শিক্ষক গবেষক নিয়োগ করা, শিক্ষা ও গবেষণায় আলাদা নির্দিষ্ট বাজেট করা এবং তার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করা, সামাজিক সংকটগুলোকে দূর করে সামাজিক উন্নয়ন করে বাসযোগ্য সমাজ বিনির্মাণ করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা স্বনামধন্য মেধাবী পেশাজীবীদের এবং শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রকল্প গ্রহণ করা।   

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য মেধা চর্চার সংস্কৃতি ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যা হবে মেধা পাচার বন্ধ করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অর্জনের জন্য সরকারি, বেসরকারি খাত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মেধাবী ও দক্ষদের দেশে ধরে রাখতে এবং মেধা পাচার কমাতে বাংলাদেশকে অবশ্যই মেধাবী ও দক্ষ জনশক্তিকেন্দ্রিক উদ্ভাবনমুখী ও সৃজনশীল পরিবেশ নির্মাণে উদ্যোগী হতে হবে। আর এটি করতে পারলেই একটি টেকসই মেধা চর্চার সংস্কৃতি ও ইকোসিস্টেম তৈরি হবে। যার মধ্যে থাকবে দেশের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগ, প্রতিযোগিতামূলক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান এবং উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপসহ মেধা সংস্কৃতি চর্চা ও লালনের পরিবেশ নির্মাণ। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে যেমন মেধাবীদের ধরে রাখা সম্ভব হবে, ফলে দেশে উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের চাকা ইতিবাচক পথে পরিচালিত হবে। সঠিক নীতি ও কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মেধা পাচারের সমস্যা থেকে মেধা চর্চার উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে পারবে।

মো. আবিদ মঈন খান: সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন