কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল নীতির পরিপালন কি ইসলামী ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বাড়িয়েছে?

হাছান আদনান

গত চার দশকে দেশে সবচেয়ে দ্রুত বিকশিত হয়েছে ইসলামী ধারার ব্যাংকিং। দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় ৩০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণই এখন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর হাতে। বিকাশ প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থাকলেও ইসলামী ধারার ব্যাংকিং বেড়ে উঠেছে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন ছাড়াই। দেশে ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালিত হচ্ছে শুধু ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা একটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকার ওপর ভর করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাড়তি নীতিছাড়ে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আবার বিশেষ ধারার ব্যাংকগুলো ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পেছনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ধরনের উদার নীতির বড় দায় আছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থ সুরক্ষার জন্য প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে আমানতের ১৩ শতাংশ অর্থ স্ট্যাটিউটরি লিকুইডিটি রেশিও বা বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) হিসাবে রাখতে হয়। যদিও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এসএলআর রাখতে হয় মাত্র দশমিক শতাংশ। আবার প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমানতের সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। কিন্তু ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আমানতের ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বা বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহকদের আমানতের অর্থ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর রক্ষাকবচ অনেক দুর্বল। নীতি পরিপালনের ক্ষেত্রে বাড়তি ছাড় বিনিয়োগকারীদের ইসলামী ধারার ব্যাংক করায় উৎসাহ জুগিয়েছে।

নীতিছাড় থাকলেও ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের আপৎকালীন সুরক্ষা হিসেবে তেমন কোনো ফাইন্যান্সিয়াল টুলস বা আর্থিক উপকরণ তৈরি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারল্য সংকটে পড়লে দেশের প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো কলমানি বাজার থেকে ধার করতে পারে। সরকারি বিল-বন্ড জামানত রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপোয় ধার নেয়ার সুযোগও রয়েছে ব্যাংকগুলোর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিভার্স রেপো ট্রেজারি বিল-বন্ড কেনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো অলস তারল্যের নিরাপদ বিনিয়োগেরও সুযোগ পায়। এক্ষেত্রেও ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো বঞ্চিত। অর্থাৎ বিপদের সময়ে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের আর্থিক কোনো উপকরণই নেই। ইসলামী ধারার ব্যাংক থাকলেও অর্থনীতিতে ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল টুলস না থাকায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কার্যক্রম শুরুর চার দশকেও বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কোনো আইন না হওয়ার বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ অরলিন্সের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম কবির হাসান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে একই সময়ে ইসলামী ব্যাংকিং শুরু হয়েছিল। মালয়েশিয়ায় আগে আইন পাস হয়েছে, তারপর ইসলামী ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে চালুর চার দশকেও ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কোনো আইন হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা আর প্রজ্ঞাপন দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী ধারার ব্যাংক চলছে। কোনো রূপরেখা না থাকায় এখানে শরিয়াহ বোর্ডের কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও শরিয়াহ সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই। ইসলামী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদেরও শরিয়াহ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। কারণে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মতো কল্যাণমুখী ব্যাংক ব্যবস্থা জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।

ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আইন, বিভাগ রীতিনীতি চালুর জন্য বহু আগে থেকে সুপারিশ করে আসছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে বহুবার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওইসব সভা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করণীয় বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছিল। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইসলামী ধারার নতুন নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া ছাড়া তেমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ইসলামী ধারার ব্যাংকিং নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালিয়েছেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর। দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন রীতিনীতি যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন তিনি। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বহু আগে থেকেই ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছিল। বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতির কথা আমরা শুনিনি। নীতিমালার পাশাপাশি ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর তত্ত্বাবধানেও ঘাটতি আছে। এসব ঘাটতি সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ২০০৯ সাল-পরবর্তী সময়ে বার্ষিক ১৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক সেবার। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ফাইন্যান্সের আকার দশমিক ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বিভিন্ন সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে। মুসলিমপ্রধান দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাজ্য, চীন, হংকংয়ের মতো অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইসলামিক বন্ড সুকুক থাইল্যান্ড, শ্রীলংকার মতো দেশগুলোয়ও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য পৃথক আইন চালু হয়েছে।

বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের সূচনা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের হাত ধরে। ১৯৮৩ সালে কার্যক্রম শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে গড়ে উঠেছে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ধারার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক। এর মধ্যে পাঁচটিই প্রচলিত ধারা থেকে ইসলামী ধারায় রূপান্তর হয়েছে। এছাড়া ১১টি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং শাখা চালু করেছে। আবার ১৩টি প্রচলিত ধারার ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ছিল লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৭ শতাংশ। একই সময়ে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগের ২৯ শতাংশই ইসলামী ধারার ব্যাংকিং থেকে গেছে। দেশের মোট রেমিট্যান্সের ৩৮ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসছে।

শরিয়াহ ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মূলনীতি হলো, হারাম থেকে দূরে থাকা এবং জনকল্যাণ করা। সম্পদ গুটি কয়েক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত না করে দেয়ার মূলনীতিটিও শরিয়াহ থেকে এসেছে। কিন্তু দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো এসব মূলনীতির ধারে কাছেও নেই। বাছবিচারহীনভাবেই লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে ইসলামী ব্যাংকগুলো। এসএমই ঋণ না দিয়ে গুটিকয়েক মানুষের হাতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করে দেয়ার ক্ষেত্রেও ইসলামী ব্যাংকগুলো ভূমিকা রাখছে।

ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার আক্ষেপ, ইসলামী ব্যাংকগুলো পরিচালনার নীতিমালা খুবই দুর্বল। ২০০৯ সালে জারি করা একটি নির্দেশিকার ওপর ভর করে ধারার ব্যাংকগুলো পরিচালিত হচ্ছে। পৃথক আইন করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলেও সে কমিটির কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। ব্যাংকগুলো শরিয়াহ অনুসরণ করে কাজ করছে কিনা সেটি যাচাই করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ নেই। আবার পরিদর্শন তত্ত্বাবধানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগ্যতার ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর . সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দেশে ইসলামী ধারার ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারের কোনো ইসলামিক ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নেই। কারণে এসএলআর সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোকে নীতিছাড় দেয়া হয়েছিল। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অন্য ব্যাংকের চেয়ে ইসলামী ধারার ব্যাংক বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ, পরিদর্শন তত্ত্বাবধনের ঘাটতির কারণেই আজকের পরিস্থিতি। এখন ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর সঞ্চিতি সংরক্ষণ, খেলাপি ঋণ, মূলধনসহ নীতিছাড়গুলো পর্যালোচনা করার সময় এসেছে।

. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মালয়েশিয়া, সুদানসহ আরব বিশ্বের কিছু দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং বন্ড মার্কেট সাফল্য পেয়েছে। ওইসব দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশেও বাজার তৈরি করা যেতে পারে। আবার ব্যাসেল--এর রীতিনীতিসহ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আইন নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। এক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।

দেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো এসএলআর হিসাবে সংরক্ষিত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করে। নিরাপদ বিনিয়োগ থেকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় মুনাফাও পায় ব্যাংকগুলো। বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের ইল্ড প্রায় শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু দেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর এসএলআর বিনিয়োগের জন্য ভালো কোনো ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নেই। ২০০৪ সালে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য গভর্নমেন্ট ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট বন্ড (বিজিআইআইবি) নামে একটি বন্ড চালু করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরোলেও সরকার বন্ডকে কাজে লাগায়নি। তবে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সুকুক নামে একটি বন্ড চালু করে। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ইস্যুকৃত সুকুকের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। সুকুকের মুনাফা নির্ধারিত হয়েছে দশমিক ৬৯ শতাংশ।

প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ফাইন্যান্সিয়াল অনেক টুলস থাকলেও ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো নগদ অর্থের প্রয়োজনে কলমানি বাজার, রেপোসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ধার করতে পারে। কিন্তু ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য ধরনের কোনো বাজার তৈরি হয়নি। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো এতদিন জরুরি প্রয়োজেনে আমাদের কাছ থেকে ধার নিয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ এখন ইসলামী ধারার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে। ধারার ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টুলস বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের জন্য পৃথক আইনও প্রয়োজন।

জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো তারল্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়ে আসছে। এতদিন খাতের প্রবৃদ্ধির কারণে বিষয়গুলো সেভাবে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়নি। কিন্তু বর্তমান সংকটকালে বিষয়গুলো নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডসহ বিভিন্ন ধরনের টুলস আছে। কিন্তু ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য সে অর্থে কোনো ফাইন্যান্সিয়াল টুলস নেই। কারণে ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য এসএলআর সংরক্ষণে ছাড় দেয়া হয়েছিল। গত চার দশকে ইসলামী ধারার ব্যাংক নিয়ে কখনো বিতর্ক ওঠেনি। ধারার ব্যাংকগুলোর আমানত সবসময়ই উদ্বৃত্ত ছিল। অন্য ব্যাংকগুলোর আমানতের দরকার হলে তারা ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে আমানত নিয়েছে। এখন বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আইন রীতিনীতি আরো শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি কোনো নতুন নীতি প্রণয়নের সময় নয়। সংকটকালীন পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন আইন রীতিনীতি প্রণয়ন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন