চীন-মার্কিন দ্বন্দ্ব

চিপ নির্মাতা কোম্পানির বিকল্প গন্তব্য ভারত-ভিয়েতনাম

বণিক বার্তা ডেস্ক

চিপ উৎপাদনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র চীনের মধ্যকার দ্বন্দ্বটা নতুন নয়। আজ অবধি চীনের চিপ উৎপাদনকারীদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতার কারণ এটি বিশেষ করে ওই চিপ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের জন্য, যারা উত্তর আমেরিকায় পণ্যটি রফতানি করতে ইচ্ছুক।

বাইডেন প্রশাসনের কড়াকড়িও চীনের চিপ উৎপাদনের ধারাবাহিকতায় বাধ সেধেছে। গত অক্টোবরে চীনের শীর্ষ মেমোরি চিপ নির্মাতা ইয়াংটজি মেমোরি টেকনোলজিস কোম্পানিসহ (ওয়াইএমটিসি) ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রযুক্তি চিপ সরবরাহ বন্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াইএমটিসির চিপ ব্যবহারের পরিকল্পনা বাতিল করে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। অ্যাপলের বিভিন্ন গ্যাজেটে ব্যবহূত চিপের একটি বড় অংশ উৎপাদন হয় চীনে, কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের বিধিনিষেধের জের ধরেই চীনের ওপর উৎপাদননির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে অ্যাপলসহ অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। 

চীন থেকে তাই উৎপাদন কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তরের কথা ভাবছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অনেক চিপ উৎপাদনকারী মনে করছে চীন থেকে বরং দক্ষিণ-পূর্ব দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভিয়েতনাম ভারতে উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তরের কথা।

সিএনবিসির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, চীনের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিপ সরবরাহ বন্ধে বিধিনিষেধ আরোপ সার্বিক পরিস্থিতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কেপিএমজির অংশীদার ওয়াল্টার কুইজপার্সের মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে চিপ উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারণের সম্ভাবনা বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলো একক দেশের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে বৈচিত্র্য আনার দিকে নজর দিচ্ছে। আর প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা এরই মধ্যেই কাজে নেমে পড়েছে।

তবে বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ যতক্ষণ পর্যন্ত সার্বিক ব্যবসাকে প্রভাবিত না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চীনই চিপ উৎপাদনে নেতৃত্ব দেবে। কেননা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধের ফলে চীনের চিপ রফতানির কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন