চলতি ২০২২ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৬ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
তথ্য অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ইপিএস হয়েছে ১ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৬ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৪ পয়সায়।
গতকাল ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটির ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং চলতি হিসাব বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৪০ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৬২ পয়সায়।
এদিকে লোকসানের কারণে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরের অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে এ বছরের ৮ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ধরা হয়েছে ১৩ অক্টোবর।
সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৫৪ পয়সায়। যেখানে আগের হিসাব বছর শেষে এনএভিপিএস ছিল ১৯ টাকা ৬৫ পয়সায়।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ফিনিক্স ফাইন্যান্স। ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটি তাদের শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। তার আগের হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। এছাড়া ২০১৭ ও ২০১৬ হিসাব বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
