বাজেট প্রতিক্রিয়া

বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে—ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম

বাজেটের আকার যা ধরা হয়েছে তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে আকারের বাজেট বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা আছে কি না সেটা দেখার বিষয়। দ্বিতীয়ত, বাজেট ঘাটতি দশমিক শতাংশ। এতেও আমার আপত্তি নেই। এটা শতাংশ হলেও আমি আপত্তি করতাম না। তবে এখানে ব্যাংক খাত থেকে ঋণের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে এটা আমি সমর্থন করি না। কারণ, এতে করে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কম হবে। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমতে পারে। অন্যদিকে বিনিয়োগের যে টার্গেট সেখানে বেসরকারি খাতে ঋণ আরো বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, এটা পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ না। রাজস্ব আহরণের টার্গেট পূরণ করাও বেশ কঠিন হবে। তবে চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে যেটা করা দরকার তা হলো যারা যোগ্য কর এবং ভ্যাটের ক্ষেত্রে অথচ কর দেয় না তাদের করের আওতায় আনা। যেমন আয়কর। ৪৫ লাখের মতো টিআইএনধারী আছে। অথচ রিটার্ন দেয় ২০ লাখের মতো। কাজেই এখানে ২৫ লাখের তথ্য এনবিআরের কাছে আছে, যেহেতু তাদের টিআইএন আছে। তাদের করের আওতায় আনতে পারলে রাজস্ব অনেক বাড়ত। অনেকের রেজিস্ট্রেশন নেই। রিসিট দেয় না।  দোকানে ভ্যাট দেয় না। এসব দূর করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, আমি জানি না কতটুকু বাড়ানো হয়েছে। এখানে দারিদ্র্যসীমার নিচের লোকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। কাজেই এটা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটি জরিপে বলা হয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে যাদের আসার কথা তাদের ৬৬ শতাংশ মানুষ আওতায় আসে না। অন্যদিকে যারা আসার কথা না, তারাও আসে। কিছু ক্ষেত্রে তছরুপ হয়। বিষয়গুলো দেখা দরকার।

 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন