এশিয়ায় চালের বাজারদর

ভারত ও থাইল্যান্ডে কমেছে, ভিয়েতনামে স্থিতিশীল

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি সপ্তাহে এশিয়ায় চালের বাজারদরে কিছুটা নিম্নমুখী দৃশ্য দেখছে। সময় শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারতে চালের দাম কমে এসেছে। অন্য উল্লেখযোগ্য রফতানিকারক দেশ থাইল্যান্ডে চালের দাম কমলেও অপরিবর্তিত ভিয়েতনামের চালের দাম। সময় বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদক বাংলাদেশের রফতানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানা যায়।

ভারতে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শক্তিশালী অবস্থানে থাকায় এবং ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়নের ফলে দেশটিতে কমেছে চালের দাম। শতাংশ ভাঙা হালকা সেদ্ধ চালের প্রতি টনের দাম চলতি সপ্তাহে দাঁড়ায় ৩৫১-৩৫৬ ডলার, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫৭-৩৬১ ডলার। নিয়ে টানা দুই সপ্তাহের মতো নিম্নমুখী অবস্থানে ভারতীয় চালের দাম। সময় ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দর রেকর্ড সর্বনিম্ন দাম ৭৭ রুপি ৭৯ পয়সা স্পর্শ করেছে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চাল বাজারে সরবরাহ করেছে ভারতীয় সরকার। পদক্ষেপ স্থানীয় বাজারে চালের দাম কমিয়ে আনতে প্রভাব বিস্তার করে। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদার এক রফতানিকারক এমনটা জানান। রুপির দুর্বল অবস্থানের ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে বৈদেশিক বিক্রয়ে লাভ বেশি হওয়ায় চালের দর কমিয়ে আনছেন রফতানিকারকরা।

চলতি সপ্তাহে ভিয়েতনামের শতাংশ ভাঙা চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সময়ে উল্লিখিত মানের প্রতি টন চালের দাম ৪১৫-৪২০ ডলার। হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী জানান, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ অনেকটা কমে আসছে, একই সমেয় বাণিজ্যিক কার্যক্রমও দুর্বল হয়েছে। দেশটির প্রাথমিক জাহাজীকরণ তথ্যানুসারে দেখা যায় -২৪ মে পর্যন্ত হো চি মিন সিটির বন্দরে লাখ হাজার ৮৭০ টন চাল জাহাজীকরণ করা হবে। যার অধিকাংশই ফিলিপাইনস, আফ্রিকা কিউবার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

অন্যদিকে থাইল্যান্ডে শতাংশ ভাঙা চালের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। চলতি সপ্তাহে মানের প্রতি টন চাল রফতানি হচ্ছে ৪৩০-৪৪৫ ডলারে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ ডলার। ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহ থেকে বাজার অনেকটা নীরব। ডলারের বিপরীতে বাথের দুর্বল অবস্থান রফতানি দরকে আরো কমিয়ে এনেছে। জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের রফতানীকৃত চালের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪৮ দশমিক শতাংশ বেশি।

চলতি বছর বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ উৎপাদক দেশ বাংলাদেশের চাল আমদানির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানায় সরকারি কর্মকর্তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রায়ই খাদ্যশস্যটি আমদানি করে বাংলাদেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন