চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের। আগের হিসাব বছরের তুলনায় এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। কোম্পানির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি মূল্যসংবেদনশীল তথ্যে (পিএসআই) ব্যবসার এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৬ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৩৯ পয়সা বা ৫৯ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৬ পয়সায়।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও বাকি ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ১১ পয়সায়। আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৬৩ পয়সা।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। এর আগের হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। এর মধ্যে ৪ শতাংশ নগদ ও ৬ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সাইফ পাওয়ারটেকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৫৭ কোটি ৮৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও বাকি ৩৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। এদিন শেয়ারটি ৪৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৬ টাকা ১০ পয়সা ও ৪৯ টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৩৮ দশমিক ৪২। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২১ দশমিক শূন্য ৬।
