সময়ের ভাবনা

লটারিতে স্কুলে ভর্তির পূর্বাপর

ড. জাহাঙ্গীর এইচ মজুমদার

সন্তান ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে মা-বাবারা একটু নিশ্চিন্ত থাকেন। কিন্তু সমস্যা হলো, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সীমিত। আবার নতুন করে সাধারণ মানের প্রতিষ্ঠানের ভালো প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের উদাহরণও হাতেগোনা। এখানে তেলা মাথায় তেল দেয়া মতো একটা চক্র তৈরি হয়েছে। দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা নামি প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তি হয়। এগুলোয় কম মেধাবীদের প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই ভর্তিকৃতরা ভালো ফলাফল করে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর খ্যাতি অব্যাহত থাকে। অন্যদিকে গড় মানের প্রতিষ্ঠানগুলোয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম। ফলে এগুলো সাধারণ মানের চক্র থেকে বের হতে পারছে না। চক্র ভাঙতে লটারির মাধ্যমে ভর্তি একটা কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। 

যে প্রতিষ্ঠানগুলো দেশসেরা, এগুলো বর্তমানে অনেকটা ভালো শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভালো প্রতিষ্ঠানের সুনাম অব্যাহত রাখতে অভিভাবকদের কৃতিত্বও কম নয়। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ, শিক্ষক কোচিং সেন্টারে ঘুরে ঘুরে ভালো ফল করান। কিন্তু অনেক সময় প্রকৃত শিক্ষাটা গৌণ হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের পাঠদানে অভিনবত্ব আনা, নিবেদন চ্যালেঞ্জ একটা পর্যায়ে এসে স্থির হয়ে গেছে। কিন্তু একসময় প্রতিষ্ঠানগুলো মিশ্র ধাঁচের শিক্ষার্থীদের পড়াত। সে সময়ে এগুলো শিখন-শেখানোয় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের অধিক পরিমাণ যত্ন নেয়া, নানা ধরনের সহশিক্ষা অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটা অবস্থানে পৌঁছেছে। ধীরে ধীরে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে ভালো ফল করা শুরু করল। তার পর থেকে এগুলোকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কারণ শিক্ষার্থী ভর্তির চাপ বাড়ায় তারা ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করে, বাছাই করে মেধাবীদের নেয়ার সুযোগ নিল। শুরু হলো ভর্তিযুদ্ধ!

যুদ্ধ জয়ে মা-বাবারা ভর্তিচ্ছুদের জোর করে পাঠ মুখস্থ করাচ্ছেন, নিজেরাও মুখস্থ করেছেন। অনেক সময় অনৈতিক পন্থাও বেছে নিয়েছেন। নানা মহল প্রক্রিয়ায় কলকাঠি নড়েছে। ভর্তির কোচিং বাণিজ্য, ডোনেশন প্রথা, পরীক্ষার ফল কারসাজি, বিবিধ অস্বীকৃত কোটা প্রথা তদবির হয়ে দাঁড়াল ভর্তি প্রক্রিয়ার নিত্যসঙ্গী। এর সঙ্গে যুক্ত হলো অভিভাবকদের আর্থিক, শারীরিক মানসিক যন্ত্রণা। তবে ক্ষতির পরিমাণটা সবচেয়ে বেশি সম্ভবত ভর্তিচ্ছুদের। একদিকে অভিভাবকরা তাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে, আরেকদিকে ভর্তিযুদ্ধ তাদের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেয়। অনেক সময় অভিভাবকরা বয়স লুকিয়ে দু-তিনবার ভর্তি পরীক্ষায় বসিয়ে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেন। ততদিনে বয়স বেড়ে যায়। সমবয়সীরা সিনিয়র হয়ে যায়। বাস্তবতা হলো, ভর্তিচ্ছুদের বেশির ভাগই কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। দু-তিনটা কোচিং সেন্টারে যাতায়াত, গৃহশিক্ষকের প্রচেষ্টা, মা-বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম যখন বৃথা যায় তখন আশা ভঙ্গের হতাশায় নিমজ্জিত হওয়া ছাড়া শিক্ষার্থীটির কোনো বিকল্প থাকে না। ততক্ষণে তারা নিজেদের দুর্বল শিক্ষার্থী হিসেবে ভাবতে শুরু করে এবং তার রেশ থেকে যায় অনেক দিন। 

কিছু প্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের আয়ের বিষয়টিও বিবেচনা করে। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান শহরে হওয়ায় গ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়; আর সচ্ছলরা শহরমুখী হয়। কারণে একদিকে শিক্ষার জন্য অভিভাবকদের ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সচ্ছল শ্রেণীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আবার নামিদামি স্কুলে ভর্তি করিয়ে অভিভাবকরা যেমন আত্মম্ভরিতা দেখান, সন্তানদের মধ্যেও এক ধরনের দাম্ভিকতা প্রবেশ করিয়ে দেন। আবার এটাও সর্বজনবিদিত যে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও এক ধরনের আত্মশ্লাঘায় ভোগেন। কখনো কখনো কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার না পাওয়ার উদাহরণও বিরল নয়।  

শহুরে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোয় যখন ভর্তির মহাচাপ, সেখানে মফস্বলের হাজারো প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীর জন্য, বিশেষ করে মেধাবীদের জন্য হাহাকার করতে হয়। ভর্তির জন্য অভ্যন্তরীণ অভিবাসন অনাকাঙ্ক্ষিত। কোমলমতি শিশুদের এভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ করাটা অমানবিক। যেখানে প্রাথমিক মাধ্যমিকের শিক্ষা সর্বজনীন এবং সব প্রতিষ্ঠানের মান কাছাকাছি হওয়া উচিত, সেখানে ধরনের বাছাই বৈষম্যমূলক। দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি নিজেদের মানসম্পন্ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করত, তাহলে হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি হতো না। সানন্দে শিক্ষার্থীরা তাদের নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যেত। তা না হওয়ায় অসমতা বিরাজ করছে। অর্থনৈতিক ভৌগোলিক উপাদানের কারণে সৃষ্ট ধরনের বৈষম্য রুখতে রাষ্ট্র সাংবিধানিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে প্রাথমিকে গণমুখী সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ২৬() ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, কারিগরি পেশাগত শিক্ষাকে সুলভ এবং উচ্চশিক্ষাকে মেধাভিত্তিক করার কথা বলা হয়েছে। বর্ণিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, মননশীল দক্ষ সমাজ গড়তে এবং শিশুমনে অসম প্রতিযোগিতা শ্রেণীবৈষম্যের বীজ বপনের প্রচেষ্টা রুখতে লটারি গ্রহণযোগ্য উপায় হতে পারে।

মোটামুটিভাবে অধিক মেধাবী দক্ষ শিক্ষার্থীরা গুটি কয়েক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধনা, শ্রম ইত্যাদির তুলনা বিচার-বিশ্লেষণের সুযোগ কমে যায়। অন্যদিকে ভালো সাধারণ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মানের পার্থক্য ব্যাপকতর হয়। কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্বটা কমে যায়। এতে ভালো স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়; আর দুর্বল প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতার পরিবেশই গড়ে ওঠে না। শিশুশিক্ষায় সফল দেশ, ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের বিপরীত দৃশ্য দেখা যায়। সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার পার্থক্য কম, কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার মানের মধ্যে দৃশ্যমান পার্থক্য রয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার তাত্ত্বিক ভিগটস্কির মতে, শিক্ষার্থীরা পরস্পরের কাছ থেকে শেখে। যে শিক্ষার্থী অধিক জানে, সে তার পাশের শিক্ষার্থীটিকে টেনে তুলতে পারে। ভালো শিক্ষার্থীর সংস্পর্শে অপেক্ষাকৃত দুর্বল অমনোযোগীরা লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়। এতে দুই ধরনের শিক্ষার্থীর উপকার হয়। দুর্বল শিক্ষার্থীটির জ্ঞানের তথা দৃঢ়করণ হয়। আর সাহায্যকারী ফাইনম্যান পদ্ধতির মাধ্যমে অন্যকে পড়িয়ে নিজের পাঠকে দৃঢ় করতে পারে। কিন্তু যখন শিক্ষার্থীদের পরস্পরের জ্ঞানের পার্থক্য কম থাকে, তখন প্রক্রিয়া থমকে যায়। অধিকন্তু, মেধাবীবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কেবল সাধারণ মানের মাঝে মেন্টরিং করায় তাদের কর্মক্ষমতার বিকাশ সীমিত হয়ে পড়ে। লটারির মাধ্যমে ভর্তি ফিনল্যান্ডের মতো পরিস্থিতি উপহার দিতে পারে।

প্রথম থেকে নবম শ্রেণীতে সরকারি বেসসরকারি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির সরকারি সিদ্ধান্তকে অধিকাংশ শিক্ষক অভিভাবক স্বাগত জানালেও ক্ষুদ্র একটা দল এর সমালোচনা করেছে। যারা স্বাগত জানিয়েছে, তাদের মতে প্রক্রিয়ায় স্কুলগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমতা আসবে। পরস্পরের প্রতিযোগিতা করার জন্য স্কুলগুলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাবে। শিক্ষার্থীদের শৈশবে বিভীষিকাময় ভর্তি পরীক্ষা থাকবে না। ধনী-দরিদ্র সবাই নামি বিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাবে। মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের অভিভাবকদের শহরমুখী স্রোত সীমিত হবে। ছেলে-মেয়েদের নিজ তত্ত্বাবধানে রেখে পড়াশোনা করাতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষাব্যয় হ্রাস পাবে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিকেন্দ্রীকরণের কারণে স্কুলগুলোর মধ্যকার পার্থক্য কমে আসবে। বর্তমানের নামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কোনো স্কুল আর বিশেষ থাকবে না। কোনো স্কুল একাধারে ভালো কিংবা একাধারে খারাপ থাকবে না। উদাহরণস্বরূপ, ৫০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী যদি একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হয়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে ভাগ হয়ে ভর্তি হয়, তখন সব কয়টি প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বিভিন্ন মানের শিক্ষার্থীদের সংমিশ্রণ ঘটবে। লটারিতে দুর্বল শিক্ষার্থীকে সব প্রতিষ্ঠান ভাগ করে নেয়ার সুযোগ হয়। একীভূত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে। মেধা, আর্থসামাজিক, ভৌগোলিক বা অন্যান্য কারণে সৃষ্ট বৈষম্য হ্রাস পেয়ে সব শিশুর সমান অধিকার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। বর্তমানে ভালো স্কুলে ভর্তি না করাতে পারায় অভিভাবকদের যে হা-হুতাশ, তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ভর্তির কোচিং বাণিজ্য থাকবে না। ভর্তি বাণিজ্যের অনেকেরই বিদায়ঘণ্টা বাজবে। 

লটারি পদ্ধতির প্রাথমিক অবস্থায় কিছু লুপহোল থেকে যেতে পারে। যেমন কেউ কেউ বলেছেন, কোনো কোনো অভিভাবক নানা কৌশলে একই ভর্তিচ্ছুর জন্য একাধিক আবেদন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রতিটি আবেদনকে ইউনিক করতে হবে, প্রয়োজনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি যুক্ত করা যেতে পারে। অনেকে বলেছেন, কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীর সংখ্যানুপাতে আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত প্রতিষ্ঠান নেই। সেক্ষেত্রে অনেককে অসুবিধাজনক দূরের প্রতিষ্ঠানে পড়তে হতে পারে। কারো কারো পক্ষে দূরের প্রতিষ্ঠানে পড়ার ব্যয় নির্বাহ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। আবার অনেকে হয়তো বেশি টাকা খরচ করে ইংরেজি মাধ্যমের মতো ভিন্ন ধারার প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে পারে। অন্যদিকে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর স্কুলের সময় অভিভাবকের কর্মসময়ের সামঞ্জস্য না- থাকতে পারে। আবার শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়তে পারে। অনেকে বলতে চেয়েছেন, তাদের সন্তানরা কোথায় পড়বে, সে সিদ্ধান্ত তারা নিতে চান। লটারির কারণে তাদের সে সুযোগ কিছুটা হলেও সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, কম যোগ্যদের সঙ্গে থাকলে তাদের সন্তানদের খারাপ না হলেও অধিকতর উন্নতির সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। তাছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত অবকাঠামো দক্ষ শিক্ষক নেই, সেখানে উপযুক্ত অনুকূল পরিবেশের অভাবে মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে আগে মেধাবীদের আনাগোনা কম ছিল, তারা এখন মেধাবীদের দিকনির্দেশনা দিতে পারবে তো? না পারলে মেধাবী শিক্ষার্থীর অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়ার কিছু ঘটনাও ঘটতে পারে।   

লটারিতে ভর্তির এসব চ্যালেঞ্জ থাকার পরও বলা যায়, বৃহত্তর স্বার্থে পদ্ধতি অব্যাহত রাখা সারা দেশের প্রথম থেকে নবম শ্রেণীর ভর্তিতে এর সুষ্ঠু প্রয়োগ, শিক্ষায় ইতিবাচক নতুন দিনের সূচনা করবে। অভিভাবক শিক্ষকরা ভালো স্কুল-খারাপ স্কুল ধারণা থেকে বের হতে পারবেন। সুযোগ পেলে মেধাবীরা দুর্বল প্রতিষ্ঠানেও জ্বলে উঠবে। আশার কথা, সরকার ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বর্তমানের ভালো স্কুলকে সংগ্রাম করেই সুনাম ধরে রাখতে হবে। তদুপরি, ভর্তিযুদ্ধ বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে শিশুদের আনন্দময় শৈশব নিশ্চিত করা যাবে। মফস্বলের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী বাড়তে পারে এবং শহরে অভিবাসন হ্রাস পেতে পারে। কোচিং বাণিজ্য, তদবির নানা ধরনের দুর্নীতির সমাপ্তি ঘটবে। প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিভিন্ন মানের মেধাবীদের মিশ্রণের এক অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হবে, আসতে পারে গুণগত পরিবর্তন। প্রক্রিয়ার টেকসই ফল পেতে মেধাবীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, আধুনিক শিখন শেখানোর পদ্ধতি কৌশলের প্রয়োগ, মনিটরিং, উদ্বুদ্ধকরণ, সম্পদের সরবরাহ, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ সর্বোপরি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে।  

 

. জাহাঙ্গীর এইচ মজুমদার: শিক্ষক গবেষক

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন