পোলট্রি, মত্স্য ও ডেইরি ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ সয়াবিন মিলের রফতানি আজ থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গতকাল পর্যন্ত যেসব এলসি/টিটি সম্পন্ন হবে ওই পণ্যগুলো ২০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি করা যাবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে দেশের পোলট্রি ও মত্স্য খাদ্যের দাম কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (এফআইএবি) সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, দেরিতে হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা ধন্যবাদ জানাই। সয়াবিন মিল রফতানির সিদ্ধান্তে দেশীয় পোলট্রি মত্স্য ও ডেইরি খাতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। রফতানি বন্ধ হওয়া ও ভারতে সয়াবিন মিলের সংকট কমে যাওয়ায় সয়াবিন মিলের স্থানীয় মূল্য অবশ্যই কমবে বলে আমি আশা করি।
সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধে আপাতত এক ধরনের স্বস্তি নেমে এলেও পোলট্রি ও ডেইরি খামারিরা আরো বেশকিছু বিষয়ের টেকসই সমাধান দাবি করছেন। রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তই যথেষ্ট নয়, বরং সয়াবিন মিলের দাম আগের অবস্থায় আনাও অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে ফিডের দাম কমবে না; ফলে ডিম ও মুরগির উৎপাদন খরচও নিয়ন্ত্রণে আনা
সম্ভব হবে না। তাই সয়াবিন মিলের মূল্য কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আরো তদারক করা প্রয়োজন।
রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রসঙ্গে ১২ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দুটি চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সয়াবিন মিল রফতানি অব্যাহত থাকলে এর প্রভাবে ডেইরি ও পোলট্রি খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
