কক্সবাজারে সেন্ট মার্টিনগামী যাত্রীবাহী দুটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরের ডুবোচরে আটকা পড়ার ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। ট্রলার দুটিতে ৪০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু ছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ট্রলার মালিক সমিতির লোকজনের সহযোগিতায় সেন্ট মার্টিন থেকে আরো চার-পাঁচটি ট্রলারযোগে লোকজন গিয়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পরে ৪০ যাত্রীসহ ট্রলার দুটি সাগরের ডুবোচর থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে গতকাল ভোর ৫টার দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালিয়া খাল থেকে যাত্রী ও মালপত্র নিয়ে এসবি তামিম ও এসবি আল নোমান নামে দুটি সার্ভিস ট্রলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে।
এর মধ্যে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা অতিক্রম করার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রীবাহী ট্রলার এসবি তামিমের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। তখন ট্রলারটি সাগরে ভাসছিল। পরে টেকনাফ থেকে মালপত্র ভর্তি অন্য ট্রলার এসবি আল নোমান ঘটনাস্থলে রাত ৮টার দিকে পৌঁছে। এ সময় ওই ট্রলারে যাত্রীদের উদ্ধার করে নেয়া হয়। পরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ট্রলারটি রশি দিয়ে বেঁধে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যাত্রীরা ট্রলারটি পুনরায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে আসার জন্য চাপ দেন। চাপের মুখে এসবি নোমানের (মাঝি) চালক ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া এসবি তামিম ট্রলারসহ যাত্রীদের নিয়ে ফেরার সময় মিয়ানমারের সীমানা ঘেঁষা বঙ্গোপসাগরে নাইক্ষ্যংদিয়াসংলগ্ন ডুবোচরে আটকে পড়ে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, গতকাল ভোর ৫টায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জনপ্রতিনিধি ও সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির লোকজনের চেষ্টায় আটকে পড়া যাত্রী ও ট্রলার দুটি উদ্ধার করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।