দেশে মডার্না ও সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না চীনের সিনোফার্মের ৪৫ লাখ ডোজ   নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল রাতে আজ সকালে দুই দফায় টিকা পাওয়ার সম্ভাব্য সময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। টিকা হাতে পাওয়ার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী আবারো গণটিকা কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।

স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্স বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেবে। এর মধ্যে গত ৩১ মে ফাইজার-বায়োএনটেকের এক লাখ ডোজের কিছু বেশি টিকা দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে। গতকাল রাতে ১২ লাখ ডোজ টিকার প্রথম চালান পাঠানোর পর আজ সকালে আরো ১৩ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। টিকা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চীনের সিনোফার্ম থেকে বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় কেনা করোনাভাইরাসের টিকাও গতকাল রাতে ঢাকায় এসেছে। প্রথম দফায় ১১ লাখ ডোজ এবং দ্বিতীয় দফায় লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বেইজিং থেকে টিকা আনা হচ্ছে। এর আগে চীন গত ১২ মে বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেয়। এরপর জুনে দ্বিতীয় দফায় লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার পাঠায় দেশটি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, এসব টিকা বাংলাদেশ পাওয়ার পর আবার পূর্ণাঙ্গভাবে টিকাদান কর্মসূচি চালু করবে সরকার।

এর আগে গত মঙ্গলবার দেশে অষ্টম টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার এমআরএনএ-১২৭৩ নামক করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। টিকার নির্দিষ্ট সংখ্যক ডোজ হাতে পাওয়ার পর তা প্রবাসী শিক্ষার্থীসহ অগ্রাধিকারে থাকা ব্যক্তিদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মডার্নার টিকা দেশে পৌঁছলে তা হবে বাংলাদেশে আসা করোনা প্রতিরোধী চতুর্থ টিকা। এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক সিনোফার্মের টিকা এসেছে বাংলাদেশে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার। সে সময় চল্লিশোর্ধ্ব এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ২০ শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকার সংস্থান না হওয়ায় কার্যক্রমে ঘাটতি দেখা যায়। এরপর অন্যান্য উৎস থেকে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তত্পরতা বাড়ায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন