হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মসলা পণ্যের আমদানি বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

রমজান ঈদে দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি। বন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় হাজার টন মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছিল। বছর একই সময়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বন্দর দিয়ে ২২ হাজার টন মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। আমদানি বেড়েছে ১৩ হাজার টন। 

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শেরেগুল ইসলাম আলম হোসেন বলেন, আমদানিকারকরা মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য বন্দরের তুলনায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যানজট কম থাকায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমদানীকৃত পণ্য বন্দরে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বিভিন্ন স্থানের আমদানিকারকরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছেন। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব পণ্য সরবরাহ করছেন তারা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, রমজান ঈদকে ঘিরে দেশের বাজারে মসলাজাতীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে। সে অনুযায়ী বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে ব্যাপকভাবে মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি করছি। অনেকেই এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। আমরা আশা করছি চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব পণ্যের দামের ওপর প্রভাব পড়বে না। ফলে দাম কম থাকবে।

হিলি স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিক আরফান হোসেন মিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে বন্দর দিয়ে পাথরই বেশি আমদানি হতো। ফলে আমাদের কাজ তেমন ছিল না বললেই চলে। রমজান ঈদকে ঘিরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরা, মেথি ইসবগুলের ভুসিসহ মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় আমাদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে, বেড়েছে আয়ও।

হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস স্টেশনের উপকমিশনার সাইদুল আলম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে। রমজান ঈদ সামনে রেখে এসব পণ্যের আমদানি বেড়েছে। বন্দর দিয়ে মূলত পেঁয়াজ, আদা, রসুন, জিরা, মেথি, মুহরি, ইসুপগুলের ভুসিসহ মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে হাজার টনের মতো মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতির ভেতরেও বন্দর দিয়ে ২২ হাজার টন মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এসব পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের দ্বিগুণের বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন