স্বাস্থ্যবিধি
মানার শর্তে দীর্ঘ
২২
দিন পর আজ থেকে চালু হয়েছে গণপরিবহন। সকাল থেকে
রাজধানীর ধানমন্ডি, আসাদগেট, সাইন্সল্যাবসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায় গণপরিবহন চালু হওয়ায় সিগন্যালে গাড়ির দীর্ঘ সারি। তবে স্বাস্থ্যবিধির মেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সরবরাহ
করতে বলা হলে তা অধিকাংশ বাসেই তা দেখা যায়নি।
অনেক বাসেই চালক ও হেলপারকে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যাবহার করতে দেখা
যায়নি। হাতে
জীবানুনাশক দিয়ে যাত্রী উঠানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেনা বাসগুলো। জানতে
চাইলে বাসের হেলপাররা জানান, এগুলোর প্রয়োজন নেই তাই তাদের কাছে রাখেনি।
এদিকে, গণপরিবহন চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ
করেছে যাত্রীরা। ফিরোজ শেখ নিউমার্কেট এলাকায় একটি অফিস চাকরি করেন। তিনি বণিক
বার্তাকে বলেন, প্রতিদিন শ্যামলী থেকে অফিসে
আসতে হয়। সিএনজি, মোটরসাইকেল বা রিক্সায আসতে এ অনেক বেশি খরচ হত। বাস চালু হওয়ায় আমার মতে কম আয়ের মানুষদের জন্য ভালো হয়েছে।
মহাখালী
থেকে আজিমপুর যাওয়ার পথে কথা হয় নূর হোসেনের
সাথে। তিনি বলেন, গতকিছুদিন খুব অসুবিধায় ছিলাম। যাতায়াতের
খরচ কমাতে সিএনজিতে লোকাল আসতাম তাতে করেনার ঝুঁকি থাকত।
এদিকে
নিউমার্কেট, গুলিস্তানসহ বেশকিছু এলাকায় লেগুনা
চলাচল করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ লেগুনায় শারীরিক দুরত্ব না মেনেই
গাদাগাদি করে বসে যেতে হচ্ছে
যাত্রীদের।
এসময় এক লেগুনা চালককে জিজ্ঞেস করলে বলেন, যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করে উঠে গেছে, আমি না করেছিলাম। সকাল থেকে অর্ধেক যাত্রী
নিয়েই চালাচ্ছি।
সাইন্সল্যাব মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আসলাম হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত যেসব পরিবহন
চলছে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে। স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
কেউ না মানলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।