নারায়ণগঞ্জে সামিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামিট পাওয়ার লিমিটেডের শতভাগ মালিকানাধীন নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে অবস্থিত ১০২ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ বছরের ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। বছরের এপ্রিল থেকে কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সামিট পাওয়ারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আরো পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং বিপিডিবির সঙ্গে চলমান আইনি লড়াইয়ের বিষয়ে গতকাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে কোম্পানিটি। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফুয়েলের মান নিয়ে বিপিডিবির সঙ্গে সামিটের বিরোধ তৈরি হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সামিট। আর আইনি লড়াই চলাকালেই ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ায় বিপিডিবি। স্টক এক্সচেঞ্জে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিপিডিবির পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। পিটিশনটির শুনানি শেষে আপিল বিভাগ বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি প্রলম্বিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন।

সামিট পাওয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বছরের এপ্রিল থেকেই কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ রেখেছে বিপিডিবি। কেন্দ্রটির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচ বছরের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। যদিও বিপিডিবির পক্ষ থেকে এখনো মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে বর্তমানে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৩ জুন বিপিডিবির সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি করে সামিট পাওয়ার। ২০১১ সালের এপ্রিল কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কেন্দ্রটি থেকে ঘণ্টাপ্রতি লাখ ২৩ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করেছে সামিট পাওয়ার। কেন্দ্রটি থেকে প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি ছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে এর মেয়াদ আরো পাঁচ বছরের জন্য বাড়িয়ে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন