এক দশকের সর্বোচ্চে কাশ্মীরে জাফরান উৎপাদন

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনা মহামারীর মধ্যে সুখবর শুনেছে ভারতের কাশ্মীর রাজ্যের জাফরানচাষীরা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় রাজ্যে বিশ্বের অন্যতম দামি মসলার উৎপাদন বেড়েছে। বিদায়ী বছরে কাশ্মীরে জাফরান উৎপাদন এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তথ্য জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে ইকোনমিক টাইমস।

এক টুইটার বার্তায় মনোজ সিনহা লেখেন, বিশাল অর্জন: কাশ্মীরে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা জাফরানের বার্ষিক উৎপাদন ১৩ টন ছাড়িয়ে গেছে। ১০ বছরের মধ্যে এটাই কাশ্মীর উপত্যকায় জাফরানের সর্বোচ্চ উৎপাদন।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে জম্মু কাশ্মীরে সব মিলিয়ে ১৩ দশমিক টন জাফরান উৎপাদন হয়েছে। এক দশক আগেও কাশ্মীর উপত্যকায় সাকল্যে দেড় টন জাফরান উৎপাদন হতো। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দশকজুড়ে কাশ্মীরে মসলাটির উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০১৯ সালে ১২ দশমিক ৪৯ টনে উন্নীত হয়েছিল। ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরে কাশ্মীর উপত্যকায় জাফরান উৎপাদন দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে।

রাজ্য কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরে প্রতি হেক্টর জমি থেকে দশমিক শূন্য কেজি জাফরান উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। বিদায়ী বছরে উপত্যকায় জাফরানের হেক্টরপ্রতি উৎপাদন আরো বেড়ে দশমিক ৯২ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। এদিকে ২০২০-২১ উৎপাদন মৌসুমে জম্মু কাশ্মীরে সব মিলিয়ে হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে জাফরান আবাদ হয়েছে। ফলে পরবর্তী বছরে উপত্যকায় মসলাপণ্যটির উৎপাদন আরো বাড়তে পারে।

মসলাপণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার কাশ্মীরের পরিচালক চৌধুরি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ আরো নানা কারণে কাশ্মীরে মসলাটির উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমে আসছিল। গত ২২ বছরে কাশ্মীরে জাফরান উৎপাদন ৬৫ শতাংশ কমে গেছে। দামি মসলার উৎপাদন বাড়াতে ন্যাশনাল স্যাফরন মিশনের আওতায় উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। এর সুফল মিলতে শুরু করেছে। ধারাবাহিকতায় গত বছর জিআই ট্যাগ পেয়েছে কাশ্মীরের জাফরান, যা বিশ্ববাজারে পণ্যটির রফতানি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন