পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির জবাবে মিয়ানমার

প্রত্যাবাসন চুক্তির ভিত্তিতে ফিরতে পারবে রোহিঙ্গারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে চলতি বছরের প্রথম দিন মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিনকে চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন। ওই চিঠির জবাবে কাইয়া টিন জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চিঠির জবাব দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়।

জানুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের পাঠানো চিঠির জবাবে কাইয়া টিন বলেছেন, বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ক সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পারস্পরিক অংশীদারের ভিত্তিতে মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যেকোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের সমাধান করতে চায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির প্রতিউত্তরে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে ১৯৭২ ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চীন, মিয়ানমার বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

কাইয়া টিন লিখেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো তিনিও মনে করেন করোনা পরিস্থিতির কারণে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির মধ্যে পারস্পরিক সংহতি সহযোগিতা প্রয়োজন। কাইয়া টিন . মোমেন জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সে সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। সে সময় মিয়ানমার মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করে বাংলাদেশকে জানিয়েছিল। এরপর আর তেমন দৃশ্যমান অগ্রগতি দেয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, প্রায় তিন বছর আগে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের ফলে দেশ ছাড়তে ব্যর্থ হয় রোহিঙ্গারা। সময় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়। সে সময় নির্যাতন জীবন বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে দেশটি। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন