স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সবার সমন্বিত, কঠোর উদ্যোগের ফলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই রাজধানীবাসীসহ দেশের মানুষকে মশার উপদ্রব থেকে মুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী। ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য অনলাইনে ৮ম আন্তঃমন্ত্রণালয় এ সভার আয়োজন করা হয়।
একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে মশা সেটিতে সহনশীল হয়ে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ ক্রয়ের পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধির জন্য তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা আছে। ওইসব দেশ যেভাবে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এনেছে আমরা সেভাবে কাজ করছি এবং অনেকটাই সফল হয়েছি। দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে করা সব পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এসময় ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং খালের দায়িত্ব ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে দেয়ার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু এবং মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দুই মেয়রের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, নগরীর খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী যেমন এর সুফল পাবে অন্যদিকে এডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় এ অনলাইন সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সব সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।