বোরো মৌসুম

শীত উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত যশোরাঞ্চলের কৃষক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

বাজারে ধানের দাম বেশি ফলন ভালো হওয়ায় এবার বোরো আবাদের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা যশোরের ছয় জেলার কৃষকদের। তাই গত বছরের তুলনায় এবার বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ধান রোপণের লক্ষ্যে তীব্র শীত উপেক্ষা করে এরই মধ্যে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে চিত্র দেখা গেছে।

যশোরাঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলায় বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে; এরই মধ্যে তা পূরণ হয়ে আরো ৬৫০ হেক্টর জমিতে বেশি বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ঝিনাইদহে লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে হাজার ৪৯৫ হেক্টর, মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৮১৯ হেক্টর জমিতে; অর্জিত হয়েছে হাজার ৯৫৭ হেক্টর, কুষ্টিয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৬২৪ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে হাজার ৭৯৪ হেক্টর জমিতে, চুয়াডাঙ্গায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল হাজার ৫৬৪ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে হাজার ৯২৭ হেক্টর, মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২৩ হেক্টর জমিতে, অর্জিত হয়েছে হাজার ১০ হেক্টর জমিতে।

যশোর সদর উপজেলার বালি ভেকুটিয়া চানপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বাউল জানান, তার গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের আবাদি জমির জন্য এরই মধ্যে ৪০-৫০ শতাংশ বোরো বীজতলায় বীজ ছিটানো হয়েছে, যা আগামী এক মাসের মধ্যে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে লাগানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, এবার বোরো ধানের বীজের দাম কৃষকদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে। ফলে এলাকায় ইরি-বোরো বীজের কোনো সংকট নেই।

বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগ্রামের কৃষক আবুল বিশ্বাস জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদ করবেন। এরই মধ্যে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে যথাসময়ে জমিতে চারা রোপণ করতে পারবেন তিনি।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন জানান, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর জেলায় গত বছর ইরি-বোরো আবাদে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২০২ হেক্টর জমি। বছর হাজার ১৩১ হেক্টর বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। রোপা আমনে লাভবান হওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ১৯ হাজার ৩৩৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে যেসব জমিতে রবিশস্য আবাদ হচ্ছে না, সেসব জমিতে প্রথম দিকে পৌষ মাসেই যাতে ধান রোপণ করা যায়, সেজন্য দ্রুতগতিতে বীজতলা তৈরি করে অঙ্কুরোদ্গমের চেষ্টায় রয়েছেন। বোরো ধানের উৎপাদন যাতে ভালো হয়, এজন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন