ফেসবুক-টুইটারের বিরুদ্ধে থাইল্যান্ডে আইনি ব্যবস্থা

বণিক বার্তা ডেস্ক

বৈশ্বিক সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক এবং মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে থাইল্যান্ড। দেশটির শাসক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে করা কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ না রাখায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক কোনো ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে থাই সরকারের এটাই প্রথম আইনি পদক্ষেপ। খবর রয়টার্স।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক টুইটারের কাছে নির্দিষ্ট কিছু কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ জানিয়েছিল থাই সরকার। বিষয়টি নিয়ে সময়ক্ষেপণ করায় ২৭ আগস্ট থেকে ফেসবুক এবং টুইটারকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন দেশটির আদালত।

থাইল্যান্ডের ডিজিটাল মন্ত্রী পুতিপং পুনাকান্তা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কনটেন্টগুলো না সরানোর কারণে তার মন্ত্রণালয় দেশটির সাইবারক্রাইম পুলিশের কাছে আইনি অভিযোগ করেছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ অনুরোধের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ভিডিওগুলো তারা ইউটিউব থেকে সরিয়ে নিয়েছে।

বিবৃতিতে থাই ডিজিটাল মন্ত্রী বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করার কারণে প্রথমবারের মতো কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্ট ব্যবহার করে আমরা ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছি। আলোচনার জন্য অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিধি না পাঠালে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ মামলা করতে পারে। তারা যদি প্রতিনিধি পাঠায় এবং ভুল স্বীকার করে নেয়, তাহলে আমরা জরিমানার মাধ্যমে মীমাংসা করতে পারি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজিটাল প্লাটফর্ম থেকে কনটেন্ট সরানোর জন্য ফেসবুক, টুইটার গুগলের কাছে আরো অনুরোধ জানাবে থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পর্নোগ্রাফি থেকে শুরু করে থাই রাজতন্ত্রের সমালোচনাকারী তিন হাজারের বেশি কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করবে দেশটি। রাজতন্ত্রের অবমাননা ঠেকাতে কঠোর আইন রয়েছে থাইল্যান্ডে। ভুয়া বা জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে এমন তথ্য অনলাইনে আপলোড করা বন্ধ করতে কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্ট রয়েছে দেশটিতে। রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে অনলাইন সমালোচনা আটকাতেও কার্যকর আইন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন