নির্ধারিত সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হবে: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভূমি উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করার পর বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। তিন হাজারের কিছু বেশি পাইলিংয়ের মধ্যে এরই মধ্যে ৪৬৪টি পাইলিং সম্পন্ন হয়েছে। কাজের অগ্রগতিতে নির্ধারিত সময়ে টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

গতকাল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের অগ্রগতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে তিনি তথ্য জানান। সময় তার সঙ্গে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মো. মাহবুব আলী বলেন, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কাজের দশমিক শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আমরা আশা করি, নির্মাণকাজ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়ন কাজ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। কক্সবাজার সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে। সৈয়দপুরে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হওয়া মাত্রই অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের নানা উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯-এর কারণে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজে কর্মরত জনবলের জন্য আলাদা বাসস্থান, কভিড-১৯- আক্রান্তদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিংয়ের পরিবর্তে বোর পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। এটি একান্তই একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এর কারণে প্রকল্প ব্যয় কোনোভাবেই বৃদ্ধি পাবে না, বরং মোট প্রকল্প ব্যয় থেকে ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত টাকা দিয়ে সরকার জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি সাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরো ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন