বর্ষপঞ্জি হিসেবে আজ ১৪
ফেব্রুয়ারি, ফাল্গুনের প্রথম দিন। একই দিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দুটি
দিবস উপলক্ষে যশোরের ফুলের রাজধানী গদখালীতে গত তিনদিনে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি
হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকার।
এবার ২১ ফেব্রুয়ারির বাজার
ধরতে চাষীরা পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ওইদিন সামনে রেখে ৪০ কোটি টাকার ফুলের
বিকিকিনি করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
ঝিকরগাছা উপজেলার হাঁড়িয়া
গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান,
তিনি দুই বিঘা জমিতে পলি হাউজে গোলাপ আবাদ করেন।
এতে ফুলের রঙ ও আবাদ ভালো হয়। ৯-১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ২০ লাখ টাকার গোলাপ বিক্রি
করেন।
পটুয়াপাড়া গ্রামের ইয়াকুব
আলী বিক্রি করেছেন ৩ লাখ টাকার গোলাপ ফুল। নারাঙ্গাগি গ্রামের আবু তাহের বিক্রি
করেছেন ৫ লাখ টাকার গোলাপ ও ১ লাখ টাকার গ্লাডিওলাস।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস
সোসাইটির সভাপতি ও গদখালী ফুলচাষী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, সারা দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা এ ফুলকে কেন্দ্র
করে। প্রায় ২০ হাজার কৃষক ফুল চাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে কেবল যশোরেই প্রায়
পাঁচ থেকে ছয় হাজার ফুলচাষী রয়েছেন। সারা বছর টুকটাক ফুল বিক্রি হলেও মূলত
ফেব্রুয়ারির বিভিন্ন দিবস সামনে রেখেই জোরেশোরে এখানকার চাষীরা ফুল চাষ করে থাকেন।
গত তিনদিনে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গোলাপ সর্বাধিক বিক্রি
হয়েছে, অন্তত ১৮ কোটি টাকার।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৩২ হেক্টর, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে
৬৩৩ হেক্টর ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬৩৬ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়। চলতি বছরেও একই
পরিমাণ জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপপরিচালক এমদাদ হোসেন
জানান, জেলায় ৬৩২ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের আবাদ করা
হয়েছে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয়।