তিন প্রান্তিকে ব্যবসা বেড়েছে ম্যারিকোর

৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (এপ্রিল-ডিসেম্বর) ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রি বেড়েছে ১৩ শতাংশ। সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। প্রথম তিন প্রান্তিকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ম্যারিকো বাংলাদেশ। চলতি হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে তিনবার অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিল কোম্পানিটি। এর আগে প্রথমার্ধের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০০ শতাংশ প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দেয় তারা।

এপ্রিল-ডিসেম্বর মেয়াদে ম্যারিকো বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ৭৬৯ কোটি লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির বিক্রি ছিল ৬৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। হিসাবে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি বেড়েছে ৯০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে ম্যারিকো বাংলাদেশের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৭ টাকা ৮৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা। হিসাবে নয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ টাকা ৪৯ পয়সা বা ৩৭ দশমিক শূন্য শতাংশ।

তৃতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ম্যারিকো বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ১৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৩৬ পয়সা।

৩১ মার্চ সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ আকারে বিতরণ করা হয়। বাকি ৫০ শতাংশ দেয়া হয় চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ আকারে। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয় ৬৪ টাকা ২৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর যা ছিল ৫২ টাকা ১৫ পয়সা। ৩১ মার্চ এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৪৯ পয়সা, এক বছর আগে যা ছিল ৪৭ টাকা ৩৮ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল ম্যারিকো বাংলাদেশ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল হাজার ৬৯০ টাকা। সমাপনী দর ছিল হাজার ৬৮৩ টাকা ১০ পয়সা। এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে হাজার ২১৬ টাকা হাজার ৮৯৯ টাকা ৫০ পয়সা।

মুম্বাইভিত্তিক এফএমসিজি কোম্পানি ম্যারিকো ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। ২০০৯ সালে এটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে বর্তমানে এর পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ২৬ দশমিক , অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১৮ দশমিক ৬।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন