ট্র্যাজিক জনতা ব্যাংক

হাছান আদনান

২০০৯-পরবর্তী সময়ে প্রতি বছর গড়ে আড়াই থেকে হাজার কোটি টাকা নতুন ঋণ বিতরণ করেছে জনতা ব্যাংক। এর মধ্যে কোনো কোনো বছর নতুন ঋণ বিতরণের পরিমাণ হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়েছিল। কিন্তু বিদায়ী বছরে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকটি নতুন ঋণ বিতরণ করেছে মাত্র ২৬৬ কোটি টাকার। হিসাবে বার্ষিক গড় ঋণ বিতরণ প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে।  ২০১০ সাল শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার  যেখানে মাত্র শতাংশ ছিল, সেখানে গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার ৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে। যদিও বড় কয়েকটি ঋণ পুনঃতফসিল করায় খেলাপির হার ডিসেম্বর শেষে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে প্রকাশিত খেলাপি তালিকার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানই জনতা ব্যাংকের গ্রাহক।

জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়ের পেছনে দায়ী কে, তা অনুসন্ধানে ব্যাংকটির গত কয়েক বছরের ঋণ বিতরণের নথিপত্র ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া পর্যালোচনার পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে বণিক বার্তা। এতে জানা যায়, একক ক্ষমতায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে সাড়ে কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিতে পারেন। সিসি ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষমতা কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ। অথচ ব্যাংকটি থেকে শুধু এননটেক্স ক্রিসেন্ট গ্রুপই ঋণ নিয়েছে হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বিপুল অংকের ঋণ বের করে নেয়ার ক্ষেত্রে শাখা ব্যবস্থাপক পর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তাকে দায়ী করা হলেও আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব পালনকারীদের ভূমিকা।

জনতা ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ প্রস্তাব গ্রহণ করে শাখা। সে প্রস্তাব পাঠানো হয় প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে। ঋণ প্রস্তাবের খুঁটিনাটি যাচাই করে তা উপস্থাপন করা হয় ক্রেডিট কমিটির বৈঠকে। ব্যাংকটির সব উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্তত পাঁচজন মহাব্যবস্থাপক কমিটির সদস্য। ক্রেডিট কমিটিতে ঋণ প্রস্তাব পাস হওয়ার পর প্রাথমিক সম্মতি নেয়া হয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের। এরপর শুরু হয় ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়া। দুই দফায় ক্রেডিট কমিটি কোনো ঋণ প্রস্তাব পাস করার পর নেয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত। এরপর সে প্রস্তাব পাঠানো হয় ব্যাংকটির ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স (আইসিসি) বিভাগে। বিভাগটির পর্যবেক্ষণ পরিপালন মেনেই ঋণ প্রস্তাব যায় পরিচালনা পর্ষদে। চেয়ারম্যান, এমডিসহ পরিচালকদের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পরই কেবল কোনো ঋণ প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা।

ঋণ প্রদানে এত সতর্ক প্রক্রিয়া থাকার পরও এননটেক্স, ক্রিসেন্ট, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি বড় ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে জনতা ব্যাংক। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকের ঋণ দেয়ার সক্ষমতাও আগের মতো নেই। ২০১৯ সালে জনতা ব্যাংক নতুন ঋণ বিতরণ করেছে মাত্র ২৬৬ কোটি টাকা।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, একক ক্ষমতায় কোনো শাখা ব্যবস্থাপকের ঋণ অনুমোদনের সুযোগ নেই। ব্যাংকের এমডির ক্ষমতাও নিয়ন্ত্রিত। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সব বড় ঋণের অনুমোদন সব প্রক্রিয়া মেনেই পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিচালনা পর্ষদ থেকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর অনৈতিক চাপ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টরা ঋণ কেলেঙ্কারির জন্য শুধুই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপাচ্ছে। পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানসহ নীতিনির্ধারণী ভূমিকায় থাকা ব্যক্তিরা আলোচনার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন।

আবার পর্ষদের সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, কোনো গ্রাহকই ডাকাতের মতো অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নেয়নি। বরং কাগজপত্র ব্যবহার করেই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই ক্ষমতা অনুযায়ী দায় আছে।

জনতা ব্যাংকের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৮ সাল শেষে জনতা ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণ ছিল ৫৩ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে নতুন ঋণ বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ২৬৬ কোটি টাকা। বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ১৪০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে জিপিএইচ ইস্পাতকে। কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে সিন্ডিকেশন ঋণ হিসেবে কোম্পানিটিকে ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। ঋণ বাদ দিলে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকটি এক বছরে অন্য গ্রাহকদের ঋণ দিয়েছে মাত্র ১২৬ কোটি টাকা।

দেশের শীর্ষস্থানীয় বড় বড় করপোরেট গ্রুপ জনতা ব্যাংকের অনেক পুরনো গ্রাহক। তার পরও বিদায়ী বছরের মতো ২০১৮ সালেও বিনিয়োগ খরা ছিল জনতা ব্যাংকের। ওই বছর জনতা ব্যাংক সব মিলিয়ে নতুন ঋণ বিতরণ করেছে ৪৩৫ কোটি টাকা। এর বড় অংশই ছিল পুরনো গ্রাহকদের বর্ধিত ঋণ।

নতুন ঋণ বিতরণ এতটা কমেছে কেন, প্রশ্নের উত্তরে জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, আগে জনতা ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিশৃঙ্খলা ছিল। ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধিও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু গত দুই বছরে সব ঋণের ক্ষেত্রেই শৃঙ্খলা আনা হয়েছে। কারণে জনতা ব্যাংকের বিতরণকৃত নতুন ঋণ খুবই কম। বিতরণকৃত ঋণের বড় অংশই দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি করপোরেট গ্রুপকে দেয়া হয়েছে। বাকিটা এসএমই গৃহ ঋণ বাবদ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে এসব ঋণ অনুমোদন বিতরণে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।

জনতা ব্যাংকের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে ব্যাংকটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। বিদায়ী বছর শেষে জনতা ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল হাজার ৫৮ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের দশমিক শূন্য শতাংশ। আর বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৪৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বেশ কয়েকটি বড় ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে জনতা ব্যাংক। এর মধ্যে এননটেক্স গ্রুপের কাছেই জনতা ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একের পর এক কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি থেকে বড় অংকের ঋণ বের করে নিয়েছে এননটেক্স। গ্রুপটির সব ঋণই খেলাপির খাতায় উঠলে সম্প্রতি হাজার কোটি টাকা পুনঃতফসিল করা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে নেয়া অর্থের বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছে ক্রিসেন্ট গ্রুপ। ঋণও খেলাপির খাতায় উঠলে সম্প্রতি শতাংশ ডাউন পেমেন্টে হাজার ৪০০ কোটি টাকা পুনঃতফসিল করা হয়েছে।

এছাড়া খেলাপি গ্রাহক চৌধুরী টাওয়েলের কাছে প্রায় ৬০০ কোটি, বিআর স্পিনিংয়ের কাছে ৫৮৫ কোটি, ইব্রাহিম গ্রুপের কাছে ৪০০ কোটি টাকা আটকা পড়েছে জনতা ব্যাংকের। বড় বড় এসব ঋণখেলাপির কারণেই বিপর্যয়ে পড়েছে ব্যাংকটি।

এননটেক্সকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন তিনি। প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হলো, ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। ওই সময় পর্যন্ত গ্রুপটির আটটি প্রকল্পের বিপরীতে ঋণ ছিল হাজার ১০০ কোটি টাকা। ঋণের পুরো অর্থই নিয়মিত রেখে আমি প্রধান কার্যালয়ে বদলি হই। কিন্তু বর্তমানে এননটেক্সের কাছে জনতা ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আমার পর আরো ছয়জন জিএম শাখাটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, শাখা ব্যবস্থাপক কোনো ঋণের অনুমোদন দিতে পারেন না। ব্যাংকের সব কমিটি প্রক্রিয়া শেষেই এননটেক্স ক্রিসেন্ট গ্রুপসহ অন্যদের ঋণ দেয়া হয়েছে। এসব ঋণ বিতরণে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তার দায়ভার ওই সময় দায়িত্ব পালনকারী নীতিনির্ধারকদের।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাত। সময় ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নাগিবুল ইসলাম দীপু, যুবলীগ নেতা আবু নাসের, পুলিশের সাবেক এআইজি সৈয়দ বজলুল করিম, ব্যবসায়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, পিকেএসএফের সাবেক ডিএমডি পারভিন মাহমুদ।

২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী তিন বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় এক বছর লুনা শামসুদ্দোহা ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের এমডি ছিলেন এসএম আমিনুর রহমান। পরবর্তী তিন বছর এমডির দায়িত্ব পালন করেন আবদুস সালাম।

জনতা ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান . জামালউদ্দিন আহমেদও ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির পরিচালক ছিলেন। ব্যাংকটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, চার মাস আগে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব গ্রহণের সময় ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। অথচ ২০১৪ সালে পরিচালক হিসেবে বিদায় নেয়ার সময় জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ছিল শতাংশ। চেয়ারম্যান হিসেবে চার মাসে খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। সময়ে আইসিইউ থেকে জনতা ব্যাংককে সাধারণ বেডে আনা হয়েছে। আশা করছি, আগামী এক বছরে ব্যাংকটির পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।

কেন জনতা ব্যাংকের বিপর্যয়? প্রশ্নের উত্তরে . জামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার আগের দুই চেয়ারম্যান নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। যে কাজটি করার দরকার ছিল, সেটি না করার কারণেই ব্যাংক বিপর্যয়ে পড়েছে। ব্যাংক ভালো থাকতে হলে গ্রাহককেও ভালো রাখতে হবে। কিন্তু কাজটি করা হয়নি। জনতা ব্যাংকে যেসব অনিয়ম হয়েছে, তার সঙ্গে অনেক পরিচালকও যুক্ত ছিলেন। ব্যাংকের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দায়দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা আছে। প্রত্যেকে তার দায়িত্ব পালন করলে আজকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। 

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক এমডি নিয়োগ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ব্যাংকগুলোর মালিকানাও সরকারেরই। রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকগুলোর বিপর্যয়ের সময়ও আপাতদৃষ্টিতে ভালো ছিল জনতা ব্যাংক। কিন্তু সবল ব্যাংকটির বিপর্যয়ের পেছনের কারণ উদঘাটনে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি অর্থ মন্ত্রণালয়কে, যাকে মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন