পাম অয়েল

গড় দাম টনপ্রতি ২ হাজার ৬৫০ রিঙ্গিত ছাড়াতে পারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত দুই বছর পাম অয়েলের গড় দামে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। তবে চলতি বছর পণ্যটির বাজার পরিস্থিতি বদলাতে পারে। সময় প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম হাজার ৬৫০ রিঙ্গিতে উঠতে পারে। পাম অয়েল খাত নিয়ে রয়টার্সের জরিপভিত্তিক প্রতিবেদনে সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। মূলত বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়ায় উৎপাদন সীমিত হয়ে আসা বছরের পরের অংশে (জুলাই-ডিসেম্বর) জৈব জ্বালানি উৎপাদনে ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে পাম অয়েলের বার্ষিক গড় দাম চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। খবর রয়টার্স স্টার অনলাইন।

রয়টার্সের জরিপ প্রতিবেদনে অংশ নিয়েছে বৈশ্বিক পাম অয়েল খাতের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ১৮ কোম্পানি বিশ্লেষক। তাদের মতে, ২০২০ সাল শেষে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম দাঁড়াতে পারে হাজার ৬৫০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) বা ৬৫০ ডলার ৮০ সেন্টে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে পাম অয়েলের গড় দাম ছিল টনপ্রতি হাজার ২৪৮ রিঙ্গিত। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পণ্যটির গড় দাম বাড়তে পারে টনপ্রতি ৪০২ রিঙ্গিত।

গত এক দশকের মধ্যে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে পাম অয়েল। ওই সময় প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম ছিল হাজার ২৩৭ রিঙ্গিত। এরপর ক্রমেই কমতে শুরু করে। দরপতনের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে এসে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম হাজার ২৩৫ রিঙ্গিতে নেমে আসে। এরপর দুই বছর বাড়লেও ২০১৮ সালে এসে ফের কমতে শুরু করে। ওই বছর প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম দাঁড়ায় হাজার ৩০০ রিঙ্গিতে।

চলতি বছর শেষে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে বলে জরিপ প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। একই সঙ্গে চলতি বছর মালয়েশিয়ায় পণ্যটির উৎপাদন দাঁড়াতে পারে কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টনে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে বছরের প্রথমার্ধে দুই দেশেই পাম অয়েল উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় থাকতে পারে। এর প্রভাব পড়বে পণ্যটির বাজারে।

অন্যদিকে বছরজুড়ে ইন্দোনেশিয়া এক কোটি লিটার বায়োডিজেল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বছরের শেষ ভাগে গিয়ে বায়োডিজেল উৎপাদনে পাম অয়েলের ব্যবহার বেড়ে যাবে। পরিস্থিতি পণ্যটির গড় দাম চাঙ্গা হওয়ার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে চাঙ্গা অবস্থার মধ্য দিয়ে ২০২০ সাল পার করবে বৈশ্বিক পাম অয়েল খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন