ফেরির টিকিট বুকিং নিয়ে সংঘর্ষ

উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িতে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা, নেতাকর্মীদের ধাওয়া

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

দৌলতদিয়া ঘাটে ট্রাক পারাপারে ফেরির টিকিট বুকিং নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রুবেলকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে   সরকারি গাড়িতে করে রুবেলকে আদালতে পৌঁছে দেয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন উপজেলা চেয়ারম্যান। পরে তাকে নামিয়ে দিতে বাধ্য হোন তিনি।

জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পারাপারকারী ট্রাকের টিকিট বুকিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেলকে গতকাল রোববার রাতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী তার সরকারি গাড়িতে করে রুবেলকে নিয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। 

এ খবর জানাজানি হলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ির গতিরোধের চেষ্টা করে। গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আহলাদিপুর এলাকায় গিয়ে গাড়ির নাগাল পায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান রুবেল ও পুলিশ স্কোয়াডকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে যান। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতা ও সরকারি গাড়ির চরম অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগও করেন তারা।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলাকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তার গাড়িতে আসামিকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাই পুলিশী স্কোয়াডসহ আসামিকে তার গাড়িতে তুলে দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরীও বিষয়টি স্বীকার করেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়িতে আসামিকে আদালতে পৌঁছে দেয়া আইনসম্মত নয়। এ নিয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

দৌলতদিয়া ঘাট : ফেরির টিকিট বুকিং নিয়ে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন