৩০ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন মিরসরাইয়ের
নিলুবালা শর্মার (৭৫) স্বামী। সহায়-সম্বল বলতে আছে স্বামীর রেখে যাওয়া ৩০ শতক জমি। এ জমিতে ঘর বানিয়ে
বসবাস করেন তিনি। তবে এ জমির ওপরও নজর পড়েছে দখলদারদের। নিলুবালা শর্মার অভিযোগ, তাকে
জমি বিক্রিতে বাধ্য করতে পাশের জমিতে বালি ফেলা হচ্ছে। এ কারণে জমি বাঁচাতে এখন
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে তাকে।
জানা গেছে, নিলুবালা
শর্মা উপজেলার হিংগুলি ইউনিয়নের পশ্চিম হিংগুলি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী সতীশ
শর্মা মারা গেছেন ৩০ বছর আগে। তাদের ছয় মেয়ের মধ্যে তিনজন স্বামী-সন্তান নিয়ে
মায়ের কাছেই থাকে। নিলুবালা শর্মাসহ তারা সতীশ শর্মার রেখে যাওয়া জমিতে নির্মিত
ঘরে বসবাস করেন।
দুই মাস ধরে ফেনী নদী থেকে পাইপ দিয়ে
বালি এনে নিলুবালা শর্মার বাড়ির পাশে শাহাজাহান কোম্পানি নামের এক ব্যক্তির জমিতে
ফেলছেন নাজমুল হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে নিলুবালা শর্মা আপত্তি
জানালেও তাতে কর্ণপাত করেননি ওই ব্যক্তি। প্রতিকারের আশায় সর্বশেষ তিনি নাজমুল
হোসেনের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে
লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নিলুবালা শর্মা বলেন, যারা
বালি ফেলছে, তারা কয়েক মাস আগে আমার কাছে জমি ইজারা নিতে চেয়েছিল। তাতে আমি রাজি
হইনি। এখন পাশের জমিতে বালি ফেলে আমাকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে। আমাকে বাড়ি থেকে
উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। তার মেয়ে সর্বশেষ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল
ইসলাম ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ১৭ ডিসেম্বর দুই পক্ষের সঙ্গে শুনানি শেষে
বালি ফেলার পাইপ তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু নাজমুল হোসেন তাতেও কোনো ব্যবস্থা
নেননি।
এ সম্পর্কে নাজমুল হোসেন বালি রাখার
জায়গাটি নিজের দাবি করে বলেন,
আমার জায়গায় আমি কাজ করলে অন্যদের কেন সমস্যা
হবে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন কাজ বন্ধ
রাখতে বলায় সেখানে এখন বালি ফেলা হচ্ছে না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল
ইসলাম জানান, পাইপ ও উত্তোলিত বালি সরিয়ে না নিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেয়া হবে।