ভিত্তিমূল্য ছিল ২০ লাখ রুপি। কলকাতায় বৃহস্পতিবার ১৩তম আইপিএলের নিলামের শুরুতে তার প্রতি খুব বেশি আগ্রহী ছিল না কোনো দল। এরপর তাকে নিলামের টেবিলে তুলে আনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। লড়াইয়ে যোগ দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও রাজস্থান রয়্যালসও। নিলামে শেষ পর্যন্ত ২ দশমিক ৪০ কোটি রুপিতে তাকে কিনে নেয় রাজস্থান। যার ফলে কিছুদিন আগেও মুম্বাইয়ে পানিপুরি বিক্রি করা কিশোর যশস্বী জাসওয়াল এক ধাক্কায় হয়ে যান কোটিপতি। তবে তার এমন উত্থান কোনো চমক কিংবা লটারিতে নয়। কঠিন পরিশ্রম ও নিষ্ঠাই তাকে এ পর্যায়ে তুলে এনেছে।
সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয়নি যশস্বীর। তবে দরিদ্র দোকানদার বাবার ছেলে হলেও ক্রিকেটের প্রতি প্রেমটা বরাবরই বেশি ছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সেই দারিদ্র্যই। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে বেছে নেন পানিপুরি বিক্রির কাজ। দিনের বেলা যে মাঠে ক্রিকেট খেলতেন, বিকালে সেখানে বিক্রি করতেন পানিপুরি। থাকার জন্য সেই স্টেডিয়ামেই জায়গা খুঁজে নেন। আজাদ ময়দানের মুসলিম ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ কর্মীদের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এর মাঝে চোখে পড়েন কোচ জোয়ালা সিংয়ের। নিজের মতো করে গড়ে তোলেন যশস্বীকে।
জোয়ালা হাত ধরেই বদলে যেতে থাকে কিশোর এ ক্রিকেটারের জীবন। ক্রিকেটীয় টেকনিকেও চলে আসে অভূতপূর্ব উন্নতি। জায়গা পেয়ে যান ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের স্কোয়াডেও। এরপর অংশ নেন অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপেও। সেখানেও তিনি ছিলেন অনন্য। যেখানে ফাইনালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে শিরোপা এনে দেন। বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত নিজেকে প্রমাণ করা যশস্বী বড় কাণ্ডটি করে দেখান গত অক্টোবরে। ভেঙে দেন ৪৪ বছরের পুরনো এক রেকর্ডও। বিজয় হাজরা ট্রফিতে মুম্বাইয়ের হয়ে ঝাড়খণ্ডের বিপক্ষে খেলা ওয়ানডে ম্যাচে করেন ডাবল সেঞ্চুরি। যেখানে ১৫৪ বলে ১২ ছক্কা ও ১৭ বাউন্ডারিতে ২০৩ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন, যা তাকে লিস্ট এ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান বানিয়ে দেয়। দুরন্ত এ ডাবলের পরই আইপিএলে চোখ ছিল সবার।
আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, যশস্বীকে হয়তো দলে টেনে নিতে পারে যে কেউ। তবে একটি নয়, তার প্রতি আগ্রহী ছিল একাধিক দল। যেখানে শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের হয়ে তার কপাল খুলেছে। এ আইপিএলই হয়তো এখন জাতীয় দলের রাস্তা খুলে দিতে পারে যশস্বীর জন্য। সাম্প্রতিক ফর্ম তার পক্ষে আছে। তার ওপর আজিঙ্কা রাহানে না থাকায় একাদশে জায়গা করে নেয়াটা আরো সহজ হয়ে গেল যশস্বীর জন্য। বিশেষ করে ওপেনিং নিয়ে দলটিকে নতুন