২০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা রাশিয়া-চীনের

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে রাশিয়া ও চীন। জ্বালানি, শিল্প,উন্নত প্রযুক্তি ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানের ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ক্ষমতাধর দেশ দুটি। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

দুদেশের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ২০১৮ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ান ফেডারেল কাস্টমস সার্ভিসের উপাত্তে বলা হচ্ছে, চীনে রাশিয়ার রফতানির ৭৪ শতাংশই খনিজ জ্বালানি; যেমন-তেল, গ্যাস, কয়লা ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য। একই সঙ্গে চীনে অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী রাশিয়া।

রাশিয়া ও চীনের মধ্যে দুটো পাইপলাইন সংযোগ রয়েছে; ইস্টার্ন সাইবেরিয়া-প্যাসিফিক ওশান অয়েল পাইপলাইন এবং পাওয়ার অব সাইবেরিয়া গ্যাস পাইপলাইন। এছাড়া চীনের তিয়ানজিন শহরে একটি তেল শোধনাগার রয়েছে।

পারমাণবিক জ্বালানি খাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে একে অন্যকে সাহায্য করে যাচ্ছে মস্কো ও বেইজিং।

রাশিয়া ও চীনে পশ্চিমা দেশগুলোর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে একে অন্যের চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসতে পারে প্রভাবশালী দেশ দুটি। ২০১০ সালের পর চীন থেকে মেশিনারি আমদানি বাড়িয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে মোট মেশিনারি আমদানির ৫৭ শতাংশই আসছে বেইজিং থেকে।

১৯৮৯ সালে চীনের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র অবরোধের পর রাশিয়ার অস্ত্রের বড় একটি ক্রেতা হচ্ছে চীন। রাশিয়ার সরকারি উপাত্ত অনুসারে,৭০০ কোটি ডলারের রুশ সমরাস্ত্র কিনছে চীন।

বৃহৎ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার আরেকটি দিক হচ্ছে, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে দুটো দেশের সংযোগ জোরদার করা। ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রকল্পের আওতায় ইউরোপের সঙ্গে পশ্চিম চীনের আন্তর্জাতিক করিডোরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার রাশিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন