অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএ) শিগগিরই পুরুষ ও নারী ফুটবলে সমান বেতনের ঐতিহাসিক ঘোষণা দিতে চলেছে। এ ঘোষণার পর ‘সকারু’দের সমান বেতন পাবেন ‘মাতিলদা’রা।
বেতনের পাশাপাশি ফেডারেশনের অর্জিত রাজস্বের ভাগও পাবেন নারী ফুটবলাররা এবং তা পুরুষদের সমান। এছাড়া জাতীয় দলের অর্জিত প্রাইজমানিরও ৪০ শতাংশ পাবেন খেলোয়াড়রা। এ মুহূর্তে খেলোয়াড়রা প্রাইজমানির ৩০ শতাংশ শেয়ার পান। এফএফএ জানায়, কয়েক মাস ধরেই তারা খেলোয়াড়দের ইউনিয়নের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
‘মাতিলদা’খ্যাত নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক স্যাম কের বলেছেন, বেতনের সমতার খবরে তিনি বেশ রোমাঞ্চিত। তার কথায়, ‘অবশ্যই নারী ফুটবলে এ বিনিয়োগের খবরকে স্বাগত জানাতে হবে এবং আমরা এ নিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিত। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে কাছাকাছি চলে আসার খবরটিই আমাদের জন্য শিহরণ জাগানো।’
অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ডিফেন্ডার অ্যালানা কেনেডি বেশ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘নারী ফুটবলার হিসেবে এটা আমাদের জন্য আনন্দের যখন আপনি (পুরুষ) আমাদের সমর্থন করবেন। আশা করি, এটা (চুক্তির ঘোষণা) চলতি সপ্তাহের শেষেই চূড়ান্ত হবে। এটা পেলে আমাদের জন্য হবে বিরাট খবর।’
গত কয়েক বছর বিশ্বমঞ্চে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া নারী ফুটবল দল। ২০১৭ সালে তারা ফিফা র্যাংকিংয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে যায়, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ র্যাংক। এ বছর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত নারী বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে ওঠার কৃতিত্ব দেখায় ‘মাতিলদা’রা। তবু পুরুষ ও নারী ফুটবল দলের প্রাইজমানিতে বড় ফারাক রয়েই গেছে। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উঠেও নারীরা অস্ট্রেলিয়া ফেডারেশনের কাছ থেকে ১০ লাখ ডলার প্রাইজমানি পেয়েছেন, অথচ ‘সকারু’খ্যাত পুরুষ দল ২০১৮ সালের রাশিয়া আসরে কোনো ম্যাচ না জিতেও শুধু মূল পর্বে খেলার জন্যই পেয়েছে ৮০ লাখ ডলার! আবার স্যাম কেররা ফ্রান্সের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতলে বোনাস হিসেবে পেতেন ২ লাখ ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। অথচ গত বছর আরব আমিরাতের মাটিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপ শিরোপা জিতলে অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল পেত ১২ লাখ ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
বেতনে সমতা আসছে, হয়তো অচিরেই প্রাইজমানিতেও আসবে। আপাতত বেতনের সমতার খবরেই ইতিহাসের দুয়ারে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল
