লিন্ডা হ্যামিল্টন আগের তুলনায় অনেক বেশি মারকুটে, তবে এ অ্যাকশন ছবিটি প্রমাণ করেছে টার্মিনেটর পুরনো হয়ে গেছে
হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘টার্মিনেটর’। ১৯৮৪ সালে দ্য টার্মিনেটর ছবি দিয়ে শুরু হওয়া এ সিরিজের পাঁচটি চলচ্চিত্রই বক্স অফিসে ঝড় তোলে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে নতুন কিস্তি টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট। একই দিন ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। টার্মিনেটর সিরিজের ষষ্ঠ কিস্তি ‘ডার্ক ফেইট’ মূলত সিরিজের প্রথম দ্য টার্মিনেটর এবং দ্বিতীয় ছবি ‘টার্মিনেটর : জাজমেন্ট
ডে’র (১৯৯১) সরাসরি সিক্যুয়াল। তবে পরের তিন ছবি ‘টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অব দ্য মেশিন’ (২০০৩),
‘টার্মিনেটর স্যালভেশন’ (২০০৯)
এবং ‘টার্মিনেটর জেনিসিসের (২০১৫) অনেক যোগসূত্র রয়েছে।
দুর্দান্ত বিনোদন, কাস্ট, বিশেষ কিলার অ্যাফেক্টস ও ননস্টপ অ্যাকশন বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরিচালক টিম মিলারের নতুন এ কিস্তি মুক্তি পেয়েছে। ছবিতে দানি রামোস (নাটালিয়া রেয়েস) নামের এক ইয়াং নারীকে ভবিষ্যৎ থেকে বের করে আনার জন্য উন্নত টার্মিনেটর (গ্যাব্রিয়েল লুনা) প্রেরণ করা হয়। দানি রামোসকে বাঁচাতে গ্রেস (ম্যাকেনজি ডেভিস) নামের একজন হাইব্রিড হিউম্যান সারাহ কনর (লিন্ডা হ্যামিল্টন) ও মূল টার্মিনেটরের (শোয়ার্জনেগার) সঙ্গে যোগ দেয়।
ডার্ক ফেইট নিয়ে বেশি যে কথা উঠছে সেটা হলো ‘সময়হীন’। অনেক চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞই এটা নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের ভাষ্যে, টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট ছবিতে বর্তমান সময়কে রিলেট না করে অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাটানি করা হয়েছে। এতে করে পুরো সিনেমায় এক ধরনের সময়হীন অনুভূতি তৈরি হতে পারে।