খান জাহান আলী ট্রেডার্স

শীর্ষ মসলা ব্যবসায়ী এখন ঋণখেলাপি

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানি-রফতানির সিংহভাগই নিয়ন্ত্রণ করেন বোম্বাইওয়ালাখ্যাত ব্যবসায়ীরা। এসব বোম্বাইওয়ালা ব্যবসায়ীর মধ্যে বড় সওদাগর ছিলেন খান জাহান আলী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ। পরিচ্ছন্ন লেনদেনের জন্য পথিকৃৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করত ব্যাংকগুলো। কিন্তু ২০১৫ সালে কোকেন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর একের পর এক ব্যবসা হারিয়ে এখন ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে খান জাহান আলী ট্রেডার্স।

কোকেন চোরাচালান মামলায় গ্রেফতারের পর জামিনে বের হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ। তার বাকি চারজন সহোদর দেশে থাকলেও আগের মতো ব্যবসা নেই প্রতিষ্ঠানটির। প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মসলার আমদানি। এতে একসময়ের অন্যতম শীর্ষ মসলা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি এখন ঋণখেলাপি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে ২০০৭ সালে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা থেকে ঋণ নেয় খান জাহান আলী ট্রেডার্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মেসার্স আক্তার ইমপেক্স। এরপর বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ১০ কোটি টাকার বেশি পরিমাণ পণ্য আমদানি করত শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক জুবিলী রোড শাখার মাধ্যমে। লেনদেনও ছিল বেশ ভালো। তবে ২০১৫ সালে কোকেন মামলার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন খুবই কমে যায়। প্রতিষ্ঠানটি আমদানিও বন্ধ করে দেয়। এতে পণ্য আমদানির জন্য দেয়া ব্যাংকঋণের কিছু টাকা আটকে যায়। প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে ঋণটি পুনঃতফসিল করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি মেসার্স আক্তার ইমপেক্স। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকের পাওনা সাড়ে কোটি টাকা শ্রেণীকৃত হয়ে গেছে।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জুবিলী রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, যদিও এটি আমি শাখার দায়িত্ব নেয়ার আগের ঘটনা। যতটুকু শুনেছি এবং ব্যাংকের নথি থেকে জানতে পেরেছি, মেসার্স আক্তার ইমপেক্সের ব্যাংকে লেনদেন ছিল খুবই ভালো। ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্রের বেশির ভাগ মূল্য নগদে পরিশোধ করত প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংকের ঋণ আটকে যায়। শাহজালাল ব্যাংকসহ মোট চারটি ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০ কোটি ঋণ শ্রেণীকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাওনাদার ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।

খান জাহান আলী ট্রেডার্সের সঙ্গে ব্যবসায়িকভাবে যুক্ত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন