দেশে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির (এসএসএনপি) পরিধি দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জন্য আলাদা বা বিশেষায়িত কোনো কর্মসূচি নেই। যে কারণে এসব কর্মসূচির প্রকৃত সুবিধা ভোগ করতে পারছে না তারা। আর এনজিওদের ভূমিকার কারণে চলমান ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কোথাও কোথাও পেলেও অন্যান্য কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ প্রায় নেই বললেই চলে। তাই এসব কর্মসূচিতে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার পরিধি বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের বিশেষ দক্ষতা বিবেচনা করে স্থানীয়ভাবে ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন এবং বিশেষ ধরনের কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অবস্থান: নতুন নীতি কাঠামোর প্রস্তাবনা’ শীর্ষক বার্ষিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। সম্মেলনে দিনাজপুর ও জয়পুরহাটের পাঁচটি উপজেলায় নয়টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি নিয়ে গবেষণার আলোকে এ কর্মসূচির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সমতলের নৃগোষ্ঠীর জন্য করণীয় বিষয়ে সুপারিশ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, এসএসএনপিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি স্থায়িত্বশীল করতে চাইলে এর প্রকল্পগুলোকে কর্মসূচিতে রূপান্তরিত করতে হবে। সব কর্মসূচির কেন্দ্রে রাখতে হবে মানুষকে, তাদের চাহিদাকে। এছাড়া প্রকল্প বিষয়টি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর থেমে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য এমন পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে, যেন প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘমেয়াদে সেটিকে চালিয়ে নেয়া যায়। দীর্ঘমেয়াদে যদি কাজ করা না যায়, তাহলে কোনো প্রকল্পই প্রকৃত আলোর মুখ দেখে না।
এদিকে সামাজিক নিরাপত্তা