যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া থেকে তড়িঘড়ি করে সেনা প্রত্যাহারের পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করেছে রাশিয়া সমর্থিত সিরীয় বাহিনী। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে গতকাল তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকার আরো অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে সিরীয় বাহিনী। এদিকে উত্তর সিরিয়ায় আগ্রাসনের কারণে যত দ্রুত সম্ভব চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আঙ্কারার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্স।
ওয়াশিংটনের সাবেক মিত্র কুর্দি বাহিনী জানিয়েছে, তুরস্কের আক্রমণ ঠেকাতে সহায়তার জন্য ‘জরুরি পদক্ষেপ’ হিসেবে তারা সিরীয় সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে। সিরিয়া সরকার তুর্কি হামলা বন্ধে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে সেনা পাঠাতে সম্মত হয়েছে বলে দাবি করেছে কুর্দিরা।
এদিকে গতকাল থেকে উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে সিরীয় সরকার, যা দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার অন্যতম মিত্র রাশিয়ার জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সরকারপক্ষ দেশের একটি বিশাল অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছে, যা এতদিন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
সমঝোতার অংশ হিসেবে সরকারি বাহিনী পশ্চিমের মানবিজ শহর থেকে পূর্বে দারিকের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিরিয়া সীমান্তে অবস্থানরত কুর্দি বাহিনীকে দমনের উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহে সীমান্ত পেরিয়ে আগ্রাসী অভিযান শুরু করে তুরস্ক। অঞ্চলটি কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত সপ্তাহে তীব্র লড়াইয়ের পর তুরস্ক প্রধান দুটি সীমান্ত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ছিল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিরীয় সেনাবাহিনীর তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শহর তেল তামারে প্রবেশের কথা জানিয়েছে। তবে এসডিএফের প্রচারবিষয়ক কর্মকর্তা এ ধরনের সেনা মোতায়েনের বিষয় নিশ্চিত করেননি।
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের দমন অভিযানে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। এছাড়া অঞ্চলটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কারণ সিরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম জোট ছিল এসডিএফ। অন্যদিকে কুর্দিদের সন্ত্রাসী বাহিনী আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক।
এদিকে তুর্কি আগ্রাসনের বিরোধিতায় আঙ্কারার ওপর অঅর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যত দ্রুত সম্ভব চলতি সপ্তাহেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। অর্থমন্ত্রী স্টিফেন মানিউচিন জানিয়েছেন, তুরস্ককে লক্ষ্য করে ট্রাম্প