সীমান্তে হত্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সীমান্তে হত্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ সালে প্রতিবছর শতাধিক লোক সীমান্তে মারা যেত। কিন্তু গত বছর মাত্র তিন থেকে চারজন লোক মারা গেছে।

শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ঢালাওভাবে ভারতকে দোষারোপ না করে নিজেদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। সীমান্তে যারা মারা যাচ্ছে তাদের অধিকাংশই অবৈধভাবে ভারতে যায়। তারা চোরাকারবারির সাথে জড়িত। অবৈধভাবে ভারত যাওয়া কমালে সীমান্ত হত্যা কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘চুরি বন্ধ করুন। সরকার কিন্তু কাউকে মারতে চায় না। তবে আমাদের দায়িত্ববান হতে হবে। অবৈধভাবে ভারত যাওয়া কমালে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে।’

ভারতে পানি ও গ্যাস দেওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে তথ্যবিভ্রাট রয়েছে বলেও আরেক প্রশ্নের জবাবে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ভারতেকে খুব সামান্য পরিমান পানি দেওয়া হচ্ছে। ফেনী নদীর পানির চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে দায়বদ্ধতার মধ্যে ফেলেছে বাংলাদেশ। তাদের পত্রপত্রিকায়ই এসব কথা লেখা হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের মহানুভবতা।

গ্যাস রফতানি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমদানিকৃত গ্যাস বাংলাদেশ রূপান্তর করে ভারতে বিক্রি করবে। এতে উল্টো বাংলাদেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশের বাজার খুব বড় নয়। এখন একটি বড় বাজার পাওয়া গেলো।

শনিবার দুপুরে একদিনের সফরে সিলেট আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন