জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

বণিক বার্তা ডেস্ক   

চলতি বছরের জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কম ছিল। খাদ্যশস্য, ডেইরি পণ্য ও চিনির দাম কম থাকা খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক হ্রাসে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। যদিও এ সময়ে ভোজ্যতেল ও মাংসের বাজার চাঙ্গা ছিল। তবে সেটি খাদ্যপণ্যের দামের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেনি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটির ফুড প্রাইস ইনডেক্স (এফপিআই) গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচ ধরনের খাদ্যপণ্যের মূল্য বিশ্লেষণ করে। যেখানে পণ্যগুলোর মূল্যসূচকের গড় পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৭০ দশমিক ৯, যা তার আগের মাস বা জুনের চেয়ে ১ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে গত বছরের তুলনায় পণ্যগুলোর মূল্যসূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

এফএওর প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় জুলাইয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। গম ও ভুট্টার দাম হ্রাস পাওয়া খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক কমাতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। আর চালের বাজার এ সময়ে পঞ্চমবারের মতো স্থিতিশীল অবস্থার মধ্য দিয়ে

পার হয়েছে।

অন্যদিকে ভেজিটেবল অয়েল প্রাইস ইনডেক্সে ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক হ্রাস পেয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। পাম অয়েলের বাজারে অব্যাহত দরপতনের ফলে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে, যা ভোজ্যতেলের বাজারকে নিম্নমুখী করতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

এফএওর ডেইরি প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, জুলাইয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে। এ সময়ে জুনের চেয়ে পণ্যটির মূল্যসূচক কমেছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। মাখন ও ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের দাম কমে যাওয়ায় এ সময়ে দুগ্ধপণ্যের দাম নিম্নমুখী ছিল।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বিশ্বব্যাপী চিনির মূল্যসূচক নিম্নমুখী ছিল। এফএওর সুগার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এ সময় জুনের চেয়ে বৈশ্বিক চিনির মূল্যসূচক দশমিক ৬ শতাংশ কম ছিল। বিশ্বে আখ উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ভারত। এ সময়ে দেশটিতে বাড়তি আখ উৎপাদনের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। আর এর প্রভাব পড়েছে চিনির মূল্যসূচক হ্রাসে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে ব্রাজিলের মুদ্রা রিয়েলের শক্তিশালী অবস্থানের ফলেও বৈশ্বিক চিনির মূল্যসূচক হ্রাস পেয়েছে। ফলে বিশ্বের শীর্ষ চিনি রফতানিকারক দেশ ব্রাজিল থেকে পণ্যটির রফতানি কমেছে।

একই কারণে চলতি বছরের জুনে বৈশ্বিক চিনির মূল্যসূচক তার আগের মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছিল। তবে পনির ও মাখনে দুধের চাহিদা কমে যাওয়ায় পঞ্চম মাসের মতো ডেইরি পণ্যের মূল্যসূচক ১১ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছিল।

গত মাসের ৪ জুলাই প্রকাশিত ফুড প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, জুনে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক তার আগের মাসের চেয়ে অর্থাৎ মে মাসের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। সে সময় ১৭৩ পয়েন্ট নিয়ে বৈশ্বিক বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক তৈরি করে এফপিআই। 

অয়েল প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এ সময়ে বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক কমেছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের আমদানির শ্লথতা এবং পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় সে সময় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নিম্নমুখী ছিল, যার প্রভাবে ভোজ্যতেলের বাজারে দাম কমেছিল পণ্যটির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন