ছবি: পিআইডি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে
দেয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারে ৬টি কমিশন গঠনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস। কমিশনগুলোর ১ অক্টোবর থেকে কাজও শুরু করার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে
আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কাজ করতে চায় সংস্কার কমিশন। সেজন্য কমিশনের কাজ পিছিয়ে গেছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে
এসব বিষয় জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের জন্য ছয়টি কমিটি গঠন করা
হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব কমিটি কাজও শুরু করেছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এসব কমিটির
কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করছে, রাজনৈতিক
দলগুলোর সঙ্গে আগেই আলোচনায় বসা দরকার। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের স্টেকহোল্ডার।
আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হবে। আলোচনা শেষে দলগুলোর
মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করবে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কিনা, এ বিষয়ে
স্পষ্ট করে কিছু বলেননি প্রেস সচিব। তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম ও কমিশনকে
সমর্থন জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের সংস্কার কমিশনগুলোকে বিশ্বনেতারা
সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে
বিশ্বনেতারা সমর্থন জানিয়েছেন।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশকে আর্থিক সমর্থনের
আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ১৬ মাস না ১৮ মাস পরে
হবে এটা বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক শলা-পরামর্শ,
এরপর জনগণ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সব অংশীদার যখন সিদ্ধান্ত দেবেন যে আমরা এ বিষয়ে একটি
ঐকমত্যে পৌঁছেছি, তখন নির্বাচনের একটি সমাধান হবে। এটা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
আগামী নির্বাচনে ড. ইউনূস অংশগ্রহণ করবেন কিনা— জানতে চাইলে প্রেস
সচিব বলেন, তিনি এক কথার মানুষ। তিনি সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন
না। তিনি রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগকে মহৎ একটি কাজ হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এটিকে
তিনি সফল জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
