মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
বলেন, প্রধান মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর
পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন,
ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মৎস্য ও
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাক্সফোর্স
কমিটির সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ প্রকৃতির দান। প্রকৃতি
বুঝে ইলিশ আহরণ করতে হবে। ইলিশ আহরণের সঙ্গে যাদের জীবিকা জড়িত তাদের বিষয়টি গুরুত্ব
দিতে হবে। বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
পদ্মার ইলিশ বিশ্বের অন্যতম সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের মানুষের
খাবারের মেনুতে ইলিশ মাছ নিশ্চিত করতে চাই, তাই আমদের ইলিশ সংরক্ষণ করতে হবে।
অন্যকোনো দেশে যেন ইলিশ অবৈধভাবে না যায়
এবং প্রতিবেশী দেশের কোনো জাহাজ বা ট্রলার যেন আমাদের সীমায় প্রবেশ করে ইলিশ আহরণ করতে
না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা। এক প্রশ্নের
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এমন কোনো কাজ করা যাবে না যার ফলে দেশের ক্ষতি হয়। বাজারে অযৌক্তিকভাবে
ইলিশের দাম বৃদ্ধি করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধে প্রচার অভিযান
আজ থেকেই শুরু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রেডিও, টিভি, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে
প্রচার কার্যক্রম তরান্বিত করে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে।