ব্যাংকের নীতিমালা হবে আন্তর্জাতিক মানের: গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

শেখ হাসিনা সরকারের সময় অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুনর্গঠিত ব্যাংকগুলোসহ আরো কিছু দুর্বল ব্যাংক থেকে আমানতের টাকা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন গ্রাহকরা। এ অবস্থায় ওই ব্যাংকগুলোর তারল্যের সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের অর্থ ফেরত দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে। রেমিট্যান্সের বিপরীতে নগদ টাকাও তুলতে পারছেন না অনেক গ্রাহক। পরিস্থিতি উত্তরণে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দ্রুত তারল্য সহায়তা দেয়ার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। ওই দিন থেকে পলাতক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও। ১৪ আগস্ট নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পান অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের ব্যাংক খাত সংস্কার ও পুনর্গঠনে কঠোর পদক্ষেপ নেন তিনি। ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে নেতৃত্বে পরিবর্তন এনে নতুন কমিটি গঠন করে বিএবি। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠনটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। গতকাল বিকালে গভর্নরের সঙ্গে বিএবির নতুন কমিটির প্রথম সভা হয়। সভায় ২২টি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বিএবির পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিএবি ও এবিবিকে যেন অংশীজন হিসেবে বিবেচনায় নেয়। জবাবে গভর্নর বলেছেন, নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ নেয়া হবে। এক্ষেত্রে একটি স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন